প্রথম দফায় ১৩ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর দু’টি অংশ বন্ধ থাকবে। দ্বিতীয় দফায় ২২ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পরিষেবা বন্ধ রেখে হবে কাজ। তারপর মূলত শনি-রবিবার এই দু’টি রুট বন্ধ রেখে কাজ হবে। বউবাজারে মেট্রোর ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সংস্কার করে পশ্চিমমুখী টানেল দিয়ে ইতিমধ্যেই ট্রায়াল রান সফল হয়েছে। বহু প্রতীক্ষার পর পাতালপথে শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড পথ জুড়তে চলেছে। বর্তমানে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ-শিয়ালদহ এবং এসপ্ল্যানেড-হাওড়া ময়দানের মধ্যে মেট্রো চালু আছে। ভিন্ন দু’টি সিগনালিং ব্যবস্থায় চলছে এই জোড়া করিডোর। তবে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান রুটে মেট্রো চালাতে অভিন্ন সিগনালিং ব্যবস্থা বসাতে হবে। এই কাজের বরাত পেয়েছে ফরাসি এক সংস্থা। তারা কমপক্ষে দেড়মাস রুট বন্ধ রেখে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিল। রেল বোর্ডের তরফে তার প্রাথমিক অনুমোদনও দিয়ে দেওয়া হয়। তবে কাজ শুরুর আগে রাজ্য সরকারের আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র রেল পায়নি।
advertisement
পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ‘একটানা দেড়মাস মেট্রো বন্ধ রাখলে গোটা ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হবে। তাই আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করার কথা বলেছিলাম। আমরা খুশি, মেট্রো রেল সেভাবেই কাজ করবে। সে সময় সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য বাড়তি সরকারি বাস রাস্তায় চলবে। সেগুলি অতিরিক্ত ট্রিপ করবে। একই সঙ্গে বেসরকারি বাস মালিকদেরও ওই সময় বাড়তি পরিষেবা দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন : ফ্রান্স সফর শেষ করে আমেরিকা পৌঁছলেন মোদি, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী
কেএমআরসিএল চায়, গোটা গ্রিন লাইনে একটিই সিগন্যালিং ব্যবস্থা তৈরি করতে। সেই কাজ করতে গেলে গ্রিন লাইন ১ এবং গ্রিন লাইন ২-এ মেট্রো চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।বর্তমানে শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ (গ্রিন লাইন ১) এবং হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেডে (গ্রিন লাইন ২) দুই পৃথক সিগন্যালিং ব্যবস্থার মাধ্যমে মেট্রো চলাচল করছে। কিন্তু কেএমআরসিএল চায়, গোটা গ্রিন লাইনে একটিই সিগন্যাল ব্যবস্থা তৈরি করতে। সেই কাজ করতে গেলে গ্রিন লাইন ১ এবং গ্রিন লাইন ২-এ মেট্রো চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড হোক বা শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ— প্রতি দিন এই দুই শাখায় প্রচুর মানুষ যাতায়াত করেন। অনেকেই সড়কপথ ছেড়ে মেট্রোপথে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। এক লক্ষের বেশি মানুষ প্রতি দিন এই দুই লাইনে যাতায়াত করেন।