শিয়ালদহ এবং এসপ্ল্যানেডের মাঝে বউবাজারে মাটির নীচে দু’টি কংক্রিটের সুড়ঙ্গ। একটি সুড়ঙ্গের ভিতরে ১০৮ মিটার লম্বা লোহার টানেল তৈরি করা হচ্ছে। আরও একটি সুড়ঙ্গে ৯২ মিটার লম্বা লোহার চাদর বসানো হচ্ছে। গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে এই কাজ। মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি এই কাজ শেষ হতে এক মাস লাগবে। কৌশিক মিত্র, মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক, মেট্রো রেল জানিয়েছেন, টানেল সুরক্ষিত আছেই৷ এই কাজের ফলে অতিরিক্ত সতর্কতা গ্রহণ করা হল। এই বিষয়ে, বিশ্বজিৎ সোম, স্ট্রাকচারাল এঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন, এটাকে বলাকে বলা হয় স্টিল লাইনার। এতে ভাল কাজ হবে। এটার শক্তি বাড়ছে। শক্তি বাড়ছে মানে স্টিফ হচ্ছে। যত স্টিফ হবে তত তার ভাইব্রেশন কমবে।
advertisement
তিনটে জিনিস আছে। একটা সোর্স। একটা ট্রান্সমিশন। আরেকটা হচ্ছে রিসিভার। ওপরে যা স্ট্রাকচার আছে। তিনটের মধ্যে একটা হাতে আছে। যাতে ভাইব্রেশন কম হয় সেভাবেই কর্তৃপক্ষ তৈরি করবে। এখানে সুবিধা হল মেট্রো যাবে। লোড কম। ‘ট্রায়াল দরকার’ বলে অবশ্য সতর্ক করছেন, বিশ্বজিৎ সোম, স্ট্রাকচারাল এঞ্জিনিয়ার। তিনি বলছেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হল ট্রান্সমিশন করে যখন উপরে আসবে অর্থাৎ যখন রিসিভারে পৌঁছবে বা বাড়িগুলোর কাছে পৌঁছবে।
আরও পড়ুন : সরকারি হাসপাতালে সিসিটিভি বসাতেও ‘কাটমানি’! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর
কারণ এখানে বেশিরভাগই পুরনো বাড়ি। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাই বাড়িগুলির রিসিভ করার ক্ষমতা আছে কিনা সেগুলো একবার দেখে নিতে হবে। সেটা ট্রায়ালও করা দরকার।। ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্য়ে বউবাজারে বার বার মেট্রোর কাজ থমকে গিয়েছে। সুড়ঙ্গে ক্রস প্যাসেজ তৈরি করতে গিয়ে বিপত্তি বাধে। তাই এবার আরও সতর্ক মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সুড়ঙ্গের ভিতর আরও একটি সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে। বসানো হচ্ছে লোহার পাত। মেট্রো কর্তৃপক্ষের আশা, কাজ শেষ হলে শিয়ালদহ এবং এসপ্ল্যানেড জুড়ে যাবে এবং আগামী বছরের মার্চ থেকে পুরোদমে শুরু হবে ইস্টওয়েস্ট মেট্রো।