TRENDING:

Air Pollution: দূষণ রোধে বিরাট পরিষেবা... এবার জলে ভাসবে ই-ভেসেল, নকশা তৈরির কাজ শুরু

Last Updated:

বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সাহায্যে কলকাতা–সহ ছয় জেলার ন’টি জেটি থেকে ২২টি বৈদ্যুতিক লঞ্চ বা ই-ভেসেল চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। আপাতত একটি ই-ভেসেলের সূচনা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা: দূষণ ঠেকাতে এবার জলে নামছে ইলেকট্রিক ফেরি বা লঞ্চ। রাজ্য পরিবহণ দফতর এই ইলেকট্রিক ফেরি নামাতে চায় জলে। আর এই ইলেকট্রিক ভেসেল তৈরি করার প্রস্তাব আগে দিয়েছিল গার্ডেনরিচ শিপ ইয়ার্ড। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অন্যতম প্রধান এই সংস্থা দূষণমুক্ত এই জলযান তৈরি করে তুলে দেবে রাজ্যের হাতে।
দূষণ রোধে চালু হবে ই-ভেসেল
দূষণ রোধে চালু হবে ই-ভেসেল
advertisement

২০২২ সালে জিআরএসই’র ডাইরেক্টর শান্তনু বসু ও রাজ্য পরিবহণ দফতরের বিশেষ সচিব অনিন্দ্য সেনগুপ্তের উপস্থিতিতে এই বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই গ্রিন ভেসেল বা দূষণ মুক্ত জলযান ধীরে ধীরে ব্যবহার করবে রাজ্য। বর্তমানে যে ধরনের ভেসেল চালানো হয় তা পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে। ইলেকট্রিক ভেসেল বা ফেরি ব্যবহার করা যাবে জাতীয় জলপথ ১ বা হলদিয়া-বারানসী জলপথেও। প্রতি ঘণ্টায় ২১০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই ভেসেল। ভেসেলটি সম্পূর্ণভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এই ভেসেলটি ২৪ মিটার দীর্ঘ। প্রায় ১৫০ জন যাত্রীর বসার ব্যবস্থা আছে এই ভেসেলেই। এছাড়া সোলার প্যানেল বসানো থাকবে৷ সেখান থেকেও শক্তি সঞ্চয় করতে পারবে এই ই-ভেসেল। এই ইলেকট্রিক ভেসেলের গতি ৮ নট। সর্বোচ্চ গতি ১০ নট পর্যন্ত। এই ইলেকট্রিক ভেসেলের নকশা তৈরি করেছে জিআরএসই’র ইঞ্জিনিয়াররা।

advertisement

আরও পড়ুন : সহধর্মিণীদের কাছে সহযোগিতার আর্জি থেকে মেডিটেশনের পরামর্শ, মেট্রোরেলের চালকদের মনঃসংযোগ বাড়াতে উদ্যোগী কর্তৃপক্ষ

বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সাহায্যে কলকাতা–সহ ছয় জেলার ন’টি জেটি থেকে ২২টি বৈদ্যুতিক লঞ্চ বা ই-ভেসেল চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। আপাতত একটি ই-ভেসেলের সূচনা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ধাপে ধাপে হুগলির ত্রিবেণী থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নুরপুরের মধ্যে বিভিন্ন ঘাটে বাকি লঞ্চ পরিষেবায় চালু হবে। বাঁচবে যাত্রী পরিষেবার খরচও।

advertisement

দেখা গিয়েছে, একটি ১৫০ জন যাত্রীবহন ক্ষমতাসম্পন্ন লঞ্চ চালাতে ঘণ্টায় দশ লিটার ডিজ়েল খরচ হয়। ই–ভেসেলের ব্যাটারিতে একবার চার্জ দিলে দু’ঘণ্টা পর্যন্ত চলানো যাবে। তাতে নদীপথে ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে। রাজ্য পরিবহণ দফতরের কর্তাদের কথায়, গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স ইতিমধ্যেই ৬ কোটি টাকা খরচ করে ১৫০ জন যাত্রী বহনক্ষমতা সম্পন্ন একটি ই-ভেসেল তৈরি করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরে ওই বৈদ্যুতিক জলযানটি বাবুঘাট থেকে হাওড়া, বেলুড়মঠ, দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে চালানো হবে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Air Pollution: দূষণ রোধে বিরাট পরিষেবা... এবার জলে ভাসবে ই-ভেসেল, নকশা তৈরির কাজ শুরু
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল