সূত্রের খবর, সল্ট লেকের একটি অফিস থেকেই উদ্ধার প্রায় ১৯৫২টি সিম। একাধিক সেল্ফ অপারেটেড কম্পিউটার, যা সার্ভারের মাধ্যমে পরিচালিত হত বলে দাবি কলকাতা পুলিশের। আর ওই সিম কার্ড ব্যবহার করেই খোলা হয়েছিল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। কী ভাবে হত লেনদেন? পুলিশ সূত্রে দাবি, ওই সিমগুলো ব্যবহার করা হত সিম বক্সে। যার মাধ্যমে সার্ভার সিস্টেমের সাহায্য নিয়ে ওটিপি জেনারেট করে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে লেনদেন চলত বলে তথ্য পাওয়া গিয়েছে। বিদেশে বসেই কেউ বা কারা পুরো প্রক্রিয়া জারি রেখেছিল বলেও দাবি লালবাজারের।
advertisement
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'ভাল' আলুর চপ খাওয়াতে চান সুকান্ত মজুমদার
ইতিমধ্যে এই অন লাইন গেমের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে মাস্টার মাইন্ড তথা নাগেটস অন লাইন গেম অ্যাপ ক্রিয়েটর আমির খান। পুলিশ সূত্রে দাবি, যে সিমগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেই সিম প্রতি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গেছে। মিলেছে প্রচুর সংখ্যায় এটিএম কার্ড ও ব্যাঙ্কের নথি। তদন্তকারীদের দাবি, অভিযানে গিয়ে কার্যত অবাক হতে হয় তাদের।
একাধিক কম্পিউটার চলছে, সার্ভার চলছে কিন্তু কোনও কর্মী নেই। পুরো টেকনোলজির ওপর ভর করেই বিদেশ থেকে পরিচালনা করা হচ্ছে বলেই দাবি কলকাতা পুলিশের। এই অভিনব প্রক্রিয়া ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
আরও পড়ুন- মোবাইল চোর ধরলেন কুণাল ঘোষ !
গাজিয়াবাদ থেকে আমির ধরা পড়ার পর কলকাতা পুলিশের তরফে প্রায় ১৪ কোটি টাকা মূল্যের বিট কয়েনের সন্ধান পাওয়া যায়। যা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে ইডিও তদন্ত করতে গিয়ে ক্রিপ্টো কারেন্সির সন্ধান পেয়েছে, যা প্রায় ১৩ কোটি টাকা। তবে এদিন কলকাতা পুলিশের অভিযানে যা উদ্ধার হয়েছে, তা এই তদন্তের অন্যতম বড় সাফল্য বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। এদিন চারজনকে আটক করা হয়েছে বলেও লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে।