মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, " বৃহস্পতিবার আমাদের মিছিল হচ্ছে। বাংলার দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো ‘শাশ্বত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। সবাইকে এই মিছিলে অংশ নিতে আহ্বান জানাই। এ বছর আমাদের দুর্গাপুজো ১ মাস আগেই শুরু হয়ে যাবে।” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন , ‘‘ আমরা বৃহস্পতিবার গর্বের সঙ্গে মিছিল করব, ক্লাবগুলিকে ধন্যবাদ জানিয়ে মিছিল করব। সবাইকে ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণ জানানো সম্ভব হয় না, তাই রাগ করবেন না। বেলা ২ টো থেকে শুরু হয়ে ৭ টা ওয়ার্ড ঘুরে মিছিল আসবে। যারা পায়ে হাঁটতে পারবে না, তাঁদের জন্য চেয়ার থাকবে। সব বণিকসভাকে ডাকছি। দল-মত নির্বিশেষে সবাই আসবেন।"
advertisement
গত ২২ অগাস্ট নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সেদিনই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ইউনেস্কো-র আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিকে ধন্যবাদ জানাতে ১ সেপ্টেম্বর শহরজুড়ে বিশাল মিছিল হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ” ওই দিন বেলা ২টোর সময় থেকে মিছিল শুরু হবে জোড়াসাঁকো থেকে। ঠাকুরবাড়ির সামনে মিছিলের জন্য সাধারণ মানুষ, পুজো উদ্যোক্তা, পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষ জড়ো হবেন। মিছিল যাবে রানি রাসমণি রোড হয়ে রেড রোড পর্যন্ত। এই মিছিলে অংশ নেবেন হাওড়া, সল্টলেক ও কলকাতার মানুষেরা।”
আরও পড়ুন : বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গে, দক্ষিণবঙ্গ ভুগবে সেই গরমেই! মারাত্মক পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেছিলেন, ” মিছিলটি ঐতিহাসিক মিছিল হিসাবে গণ্য করতে হবে। এ বারের মিছিল অনেক রঙিন করতে হবে। যাতে রং থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবাই রঙ রাখবেন, রঙিন ছাতা, রঙিন জামাকাপড় পরে আসবেন।”
আরও পড়ুন : বড় খবর! এবার শিক্ষক নিয়োগের তথ্য চাইল কেন্দ্রীয় অডিট সংস্থা
কলকাতায় পুজোর কার্নিভ্যাল হবে লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন ৯ অক্টোবর। আগের দিন অর্থাৎ ৮ অক্টোবর এই প্রথমবার জেলায় জেলায় হবে পুজো কার্নিভ্যাল। দুর্গাপ্রতিমার বিসর্জনও এ বার তিন দিন ধরে চলবে।