নিউজ এইট্টিন বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শুভেন্দু অধিকারী বললেন, 'পুজো উদ্বোধন করার জন্য রাজ্যজুড়ে ডাক পেয়েছিলেন দু'শোর বেশি পুজো উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে। কিন্তু সময় সীমিত হওয়ার কারণে হয়তো সব পুজোর উদ্বোধনে শেষ পর্যন্ত যেতে পারবো না। তবে ষষ্ঠীতে উদ্বোধন শেষ করলেও নবমী পর্যন্ত বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ পরিদর্শন করব'। শুভেন্দু এও বলেন, 'এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০ টি পুজো মণ্ডপে যাব। ষষ্ঠীর রাত পর্যন্ত কোথাও উদ্বোধন, আবার কোথাও পুজো উদ্যোক্তাদের অনুরোধে নবমী পর্যন্ত যাব পুজোয় অংশ নিতে'। আজ পঞ্চমী, এদিনও শুভেন্দু অধিকারীর একাধিক পুজো উদ্বোধন রয়েছে। শুভেন্দুর হাত ধরে আজ, শুক্রবার আটটি পুজোর উদ্বোধন হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: নেই দাদা, ভাবতেই পারছে না একডালিয়া! সুব্রত-হীন পুজো যেন এভারগ্রিন নয়
আগামীকাল, শনিবার ষষ্ঠীর রাত পর্যন্ত ১১ টি পুজোর উদ্বোধন করবেন শুভেন্দু অধিকারী বলে জানালেন। তবে মা দুর্গার বোধন ষষ্ঠীর দিন বিভিন্ন দুর্গোৎসবের উদ্বোধন শেষ করলেও শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন পুজোয় অংশ নিয়ে প্রতিমা ও প্যান্ডেল দর্শনের পাশাপাশি জনসংযোগও একই সঙ্গে নিজের পুজোর প্ল্যানের মধ্যে থাকছে শুভেন্দু অধিকারীর। বিভিন্ন পুজোর উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখার সময় শুভেন্দু অধিকারীর মুখে বারবারই উঠে আসছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ। পিতৃপক্ষে তাঁর পুজো উদ্বোধন সহ বিভিন্ন পুজোয় বিজেপির যোগ থাকায় পুজোর অনুমতিতে বাধা দেওয়া থেকে মন্ত্র বিতর্ক প্রসঙ্গেও নিজের পুরনো দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগতেও দেখা যাচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীকে।
আরও পড়ুন: 'তোমাকে যদি আদালতে ল্যাজে গোবরে না করি আমার নাম অভিষেক না'
পিতৃপক্ষে পুজো উদ্বোধন সনাতন সংস্কৃতির অপমান বলে দাবি করে শুভেন্দু বললেন, 'আমরা পুজোর উদ্বোধন 'অশুভ' তিথিতে করে সনাতন সংস্কৃতির অপমান করি না। ওনার পক্ষে ( মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) রাজনৈতিক কারণে সবকিছুই করা সম্ভব। এটা খুবই লজ্জা ও দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, পুজো করতে গেলে কোথাও কোথাও আজ আদালতের অনুমতি নিতে হচ্ছে। এই ধরনের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কাম্য নয়'। পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য অনেকটা এইরকম ,' ক্ষমতাবলে রাজ্যের সব পুজোর উদ্বোধন আমি করব, এই মানসিকতা থেকে তাই কাঁচি নিয়ে মা দুর্গাকে অপমান করে পিতৃপক্ষ থেকেই শারদ উৎসবের উদ্বোধন শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পুজোকে কেন্দ্র করে সনাতন এই সংস্কৃতির অপমান করা আমার সিলেবাসে নেই। সেই মানসিকতা থাকলে নন্দীগ্রামে ভোটে ওনাকে পরাজিত করেছিলাম। পুজোর উদ্বোধনের সংখ্যাতেও তাঁকে পরাজিত করতাম। আমার একটাই লক্ষ্য অশুভ শক্তিকে বিনাশ করা। মায়ের কাছে সেই প্রার্থনাই করছি'।