এখানকার শতাধিক পরিবার মিলে গড়ে তুলেছেন এক ভিন্ন আবহ। গামছা আর তালপাতার হাতপাখার মাধ্যমে সাজানো হয়েছে মণ্ডপ ও পরিবেশ। সেই সঙ্গে পল্লিজীবনের সরলতা ও আবহ যেন মিশে আছে প্রতিটি কোণে। আবাসনের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পুজো মানে শুধু দেবী দর্শন নয়, একসঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়া। তাই ঢাকের তালে তাল মিলিয়ে ছোট থেকে বড় সবাই নেচে উঠেছেন উৎসবের মেজাজে।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
গ্রাম বাংলার এই রঙ ছড়িয়ে দেওয়া থিমে যেন শহুরে জীবনের কোলাহল ভুলে একটুখানি গ্রামীণ পরশ খুঁজে পাচ্ছেন আবাসনের সকলেই। পুজোর কয়েকদিন ধরে আবাসনের প্রাঙ্গণ জুড়ে জমে উঠছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রতিযোগিতা ও একসঙ্গে ভোগ খাওয়ার আনন্দ। সকলে মিলেমিশে উপভোগ করছেন বাঙালির এই সবচেয়ে বড় উৎসব।
প্রতিদিন সন্ধ্যায় আলো ঝলমলে আবাসন মুখরিত হচ্ছে ঢাক, শাঁখ ও উলুধ্বনিতে। আবাসনের শিশুদের জন্য থাকছে বিশেষ আয়োজন, আবার প্রবীণদের জন্যও রয়েছে আনন্দের ভাগ। এই আবাসনের বাসিন্দারা বিশ্বাস করেন, পুজো মানে শুধু আনন্দ নয়, মিলনের সেতুবন্ধনও বটে। তাই প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত হচ্ছে দুর্গা পুজোর মাধ্যমে। এবারের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রমাণ করে, শহরের বুকে থেকেও গ্রাম বাংলার স্নিগ্ধ আবহকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব, আর তারই এক অনন্য দৃষ্টান্ত রহড়া ইকো আবাসনের দুর্গোৎসব।