সুবিশাল বৃহৎ এই অট্টালিকার তৈরির পিছনে রয়েছে এক ইতিহাস। নবাব আলি বর্দি খাঁর শাসনকালের সময়ের ঘটনা। কথিত আছে, পরিবারের পূর্ব পুরুষ রাম গোবিন্দ গোস্বামী একদিন পাটুলি থেকে গঙ্গাবক্ষে কলকাতার উদ্দেশ্য যাত্রা করেন। তাঁর স্ত্রী মনোরমা দেবীর প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। তাই শ্রীরামপুরে থামতে বাধ্য হন। নৌকা থেকে নেমে শ্রীরামপুর তার খুব পছন্দ হয়। সেই সময় শেওড়াফুলির রাজা মনোহর রায় জানতে পেরে তার থাকার ব্যবস্থা করেন। রামগোবিন্দ দুর্গাপুজো শুরু করেন যা বড় বাড়ি নামে পরিচিত হয়। পরবর্তীকালে রাম গোবিন্দর নাতি হরিনারায়ণ গোস্বামীর আমলে পরিবার ভাগ হয়। তিনি ও তাঁর পুত্র রঘুরাম গোস্বামী চাতরায় বিশাল অট্টালিকা তৈরি করেন। বিরাট নাট মন্দির ঠাকুর দালান তৈরি হয়, সেখানেই শুরু হয় দুর্গাপুজো।
advertisement
বর্তমানে, পারিবারের অনেকেই বিদেশে থাকেন। তবে পুজোতে সবাই নিজের বাড়িতে আসার চেষ্টা করেন। যাঁরা আসতে পারেন না তাদের জন্যই প্রতিবছর সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ ভিডিও ব্রডকাস্ট করা হরয় গোস্বামী বাড়ির ফেসবুক পেজ থেকে। যাতে দূরে থেকেও আপনজনরা পুজোর আনন্দ একইভাবে অনুভব করতে পারে। বর্তমান প্রজন্মের গোস্বামী বাড়ির সদস্যরা জানান, দালান রক্ষণাবেক্ষণ করা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও কেউ কেউ চাইছেনঐতিহ্য ধরে রাখতে।