জানা গিয়েছে, মণ্ডপের দুই পাশে নিচের দিকে যতটা সম্ভব হাত দেওয়া যায়, সেইখানে একটাও ফুচকা প্রায় অবশিষ্ট নেই। মণ্ডপ দর্শণে আসা একশ্রেণির দর্শনার্থীরা সেই ফুচকা খুলে নিয়েছে বলে অভিযোগ। আবার দাবি করা হচ্ছে, সেই ফুচকা অনেকে খেয়েও নিয়েছেন। মণ্ডপের দুই পাশে শুধুই শালপাতা। মাঝের ফুচকা কার্যত উধাও। এমন অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন ওই মণ্ডপের উদ্যোক্তারা।
advertisement
শেষে ফেসবুকে ওই ক্লাবের পক্ষ থেকে একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে বলা হয়, “আমাদের মণ্ডপের সমস্ত ফুচকা কেমিক্যাল যুক্ত। শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। মণ্ডপে আসুন, দর্শন করুন। সতর্ক থাকুন।” মণ্ডপের সঙ্গে যুক্ত এক ক্লাবকর্তা সংবাদমাধ্যমে জানান, “আমরা ফুচকা দিয়ে সাজিয়েছিল গোটা মণ্ডপ। ফুচকার বিরাট আকর্ষণ আছে। অনেকে ফুচকা এখান থেকে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এই ফুচকাগুলি কেমিক্যাল মেশানো। পুজোর ৫ দিন যাতে ফুচকা গুলো ঠিক থাকে তাই এই কেমিক্যাল দেওয়া হয়েছিল। মাইকেও ঘোষণা করা হচ্ছিল। কিন্তু তাতেও আটকানো যাচ্ছে না।”
আরও পড়ুন, দুর্গারত্ন পুরস্কার ঘোষণা রাজ্যপালের! চারটি ক্লাব পেল সেরা শিরোপা! তালিকায় কারা?
আরও পড়ুন, বড় সুখবর! দীপাবলিতে বাম্পার গিফট রেলের! উৎসবের মরশুমে ২৮৩ স্পেশাল ট্রেন
কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। কার্যত অষ্টমীতেও দেখা যায় মণ্ডপের নিচের অংশের ফুচকা আর অবশিষ্ট নেই। উৎসুক দর্শনার্থীদের অনেকেই সেই ফুচকা নিয়ে চলে গিয়েছেন। অনেকে আবার খেয়েও নিয়েছেন। ফুচকা এমনই একটি খাবার যার জনপ্রিয়তা থাকে ৮ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে সকলের। মূলত সেই ভাবনা থেকেই এবারের থিমে ফুচটা এনেছিল বেহালা নতুন দল। কিন্তু সেখান থেকে যে বিষয়টি এই দিকে গড়াবে তা কল্পনাও করতে পারেননি তাঁরা।