তবু এখনও দশমী মানে পুজোর শেষ, চোখের কোণে জল নিয়ে আবার একটা বছরের অপেক্ষা, শুরু আসছে বছর আবার হবে-এর দিন গোনা। আর এই বিষণ্ণতা, আলো-আঁধারির মাঝেই নজর কেড়েছে এই মূর্তি। কসবার বছর ১২’র অবিশ্রান্ত নাগ তৈরি করেছে এই প্রতিমা। ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র অবিশ্রান্ত এই দুর্গা গড়েছে। মূর্তি আকারে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের হাতের তালুর চেয়েও ছোট।
advertisement
নাগ পরিবারের এই সন্তান কে সি নাগ সম্পর্কে জেনে, অঙ্ক নিয়ে লড়াই করে যায়। কিন্তু প্রতিমার মূর্তি বানাতে তাকে লড়াই লড়তে হয়নি। অবিশ্রান্ত বলেছে, “আমি ক্লে-মডেলের অনেক কিছু তৈরি করি। এবার বন্ধুদের বলেছিলাম দুর্গা প্রতিমা বানাবো। তিন দিন সময় লেগেছে এটি বানাতে।”
আরও পড়ুন: বরণ শেষে সিঁদুর খেলায় ইনি ছিলেন দিতিপ্রিয়ার সঙ্গী! রইল ছবি
শুধু প্রতিমা বানিয়েই ক্ষান্ত হয়নি অবিশ্রান্ত। সেই প্রতিমার পুজোও করেছে বাড়িতে। তবে অবিশ্রান্তের বলে, “আমি বাড়িতে বলেছি, যদি বড় করে পুজো করা হয়। তবে আমিই প্রতিমা বানিয়ে দেব।” সবটা মিলিয়ে দশমীর রাতে বাজে কদমতলা ঘাটে অন্যান্যসব প্রতিমার ভিড়ে মূর্তিও তাক লাগিয়ে দিয়েছে সকলকে। তার ইচ্ছা আগামী দিনেও সে এরকম প্রতিমা গড়বে, তবে মিনিয়েচার নয়, বড় আকারে৷ তাই ঘুরে ঘুরে সে কলকাতার ঠাকুর দেখেছে। একাধিক প্রতিমার ছবি তুলে রেখেছে৷ আগামী দিনে সে শিল্পী হবার স্বপ্ন দেখে৷