এই বিষয়ে পত্রিকার সম্পাদক কলতান দাশগুপ্ত বলেন, “আমাদের যে ইনসাফ যাত্রা হচ্ছে, তাতে একদিকে যেমন আমরা বেকার ছেলেমেয়েরা কাজ পাচ্ছে না এই যন্ত্রণার বিরুদ্ধে ইনসাফ চাইছি। আবার যাঁরা এই কাজের লড়াই করতে গিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শহিদ হলেন, সেই ঘটনারও ইনসাফ আমরা চাইছি আমরা। আনিস খানও ইনসাফ পাননি, মইদুল মিদ্দাও ইনসাফ পাননি। এই যে পঞ্চায়েতে যারা শহিদ হল, তাঁরাও ইনসাফ পাননি। আবার কলকাতা রাস্তায় যাঁরা দিনের পর দিন বসে আছেন কাজের দাবিতে তাঁরাও ইনসাফ পাননি। তাঁদের এই ইনসাফের জন্য আমরা লড়াই করছি। সেই লড়াইয়ের গাথা, সেই লড়াইয়ের খবর আমাদের পত্রিকায় থাকছে। আর এই লড়াইয়ের জন্য যাঁরা শহিদ হল তাঁদের পরিবারকে আমরা এর সঙ্গে জুড়ে নিচ্ছি।”
advertisement
আনিস খানের মৃত্যুর পর থেকেই তা নিয়ে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সিপিএমের ছাত্র যুব সংগঠন। কলকাতার পাশাপাশি সারা রাজ্য জুড়েই এই আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। এই আন্দোলনের ফলে কার্যত রাজ্য রাজনীতি থেকে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়া সিপিএম ফের মাথা চারা দিতে শুরু করে। বেশ কয়েকটি নির্বাচনে সেই আন্দোলনের প্রভাব পড়তে থাকে। তাই এই রেশ আগামী দিনেও কাজে লাগাতে চায় আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।
আর কয়েক মাস পরে লোকসভা নির্বাচন তার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সিপিএম। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে দলের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। তাই এখন থেকেই সেই সলতে পাকানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন সংগঠনের নেতৃত্ব।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের মতে, লোকসভা নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে থাকলেও রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধেও লড়াই করবে দল। ইতিমধ্যেই নেতৃত্ব সেই কথা জানিয়েও দিয়েছে। তবে শুধু লড়াই নয় সাফল্যের মুখ দেখতে মরিয়া সিপিএম। না হলে জোটের মধ্যে থেকেও গুরুত্ব হারাবে দল। তাই সেই সাফল্য পেতে এবার দল ছাত্র যুব সংগঠনের উপর ভরসা রাখছে সিপিএম৷