বৈঠকে পুজোর কমিটির উদ্যোক্তাদের থেকে তাঁদের নানান সমস্যা ও পরিকল্পনা শোনা হয় বলে সূত্রের খবর। পুজোর চারদিনে বাড়তি আনন্দ পেতে ডিজে কোনওভাবেই ব্যবহার করা যাবে না তা জানিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের এই বৈঠকে। তবে তারস্বরে মাইকে এবার লাগাম টানতে চলেছে সে কথাও স্পষ্ট করা হয় বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদি কি সত্যিই লেন্সে কভার না সরিয়ে চিতার ছবি তুলেছিলেন? জেনে নিন
advertisement
জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে মেনে মাইক ব্যবহার করার অনুমতি মিলবে, মাইকের সাউন্ডে লাগাম টানবে বা কন্ট্রোল করতে এই বছর থেকে বসতে চলছে সাউন্ড মিটার। সূত্রের খবর ওই সাউন্ড মিটার নিয়ে দ্রুত পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড একটি আলোচনার আয়োজন করবে। এছাড়াও বৈঠকের মাধ্যমে পুজো কমিটির আবেদন ছিল পুজোর দিনগুলো ট্রাফিক যেন সমস্যা না হয় সেই দিকে বিশেষ নজর দিতে, বিগত দুই বছর পুজোর প্যান্ডেল হপিং থেকে বঞ্চিত থাকার পর বলাই বাহুল্য এই বছর জোরকদমে প্যান্ডেল হপিং করায় যেন সমস্যা না হয়, সেদিকেই রাড়তি নজরদারি কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাতের মোবাইল হয়ে উঠবে ডি এস এল আর! পুজোয় নজর কাড়া ছবি তুলতে এই ৫ অ্যাপ ব্যবহার করে দেখুন
ইউনেস্কো পুজো স্বীকৃতির পাবার পর এই বছর প্রচুর বিদেশি পর্যটকদের অনুমান করছে পুজোর উদ্যোক্তারা। মূলত বেহালা ও টালিগঞ্জের দিকে ট্রাফিক ব্যবস্থায় বাড়তি নজর দেবার আবেদন করা হয়। শহরের রাস্তা মেরামতি নিয়েও আলোচনা করা হয় বৈঠকে। বেশ কিছু জায়গায় রাস্তা সারাইয়ের জন্য পুরসভার তরফে একটি প্রতিনিধি দলও শহরের বিভিন্ন জায়গায় খারাপ রাস্তা পরিদর্শন করে সারাই বলে জানানো হয়। বিশেষ করে উত্তর কলকাতার দিকে গাছ কাটার আবেদনও আসে পুলিশ কমিটির দিকে।
শহরে অগ্নিকাণ্ডের মত ঘটনা যাতে দ্রুত রোখা যায় তার জন্য হেদুয়া পার্ক ও প্রত্যাপাদিত্য রোড সংলগ্ন এলাকায় ফায়ার টেন্ডার রাখার পরামর্শও আসে পুজো কমিটির তরফ থেকে। বৈঠক শেষে যুগ্ম কমিশনার হেডকোয়ার্টার শুভঙ্কর সিনহা সরকার বলেন, "বৈঠক প্রতি বছরের মতোই এই বছরে হল, তবে রাস্তা সারাই বা ট্রাফিক ব্যবস্থার উপরই বাড়তি গুরুত্ব দেবার কথা হয় আজ।"