চতুর্থী থেকে মানুষের ভিড় এবং যান নিয়ন্ত্রণে মোট ৯ হাজার পুলিশ মোতায়েন করছে লালবাজার। তার মধ্যে চার হাজার পুলিশ থাকবে যান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে। পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করতে থাকছে ১০ হাজার 'অস্থায়ী' হোমগার্ড। শহরের সমস্ত বড় মোড়গুলিতে থাকবেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার এবং ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ অফিসাররা। গোটা বিষয়টি কন্ট্রোল রুম থেকে তদারকি করবেন লালবাজারের পদস্থ কর্তারা।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের টার্গেট ৫০০! বিজয়া সম্মিলনী সভাতেই পঞ্চায়েত ভোটের মহড়া
মঙ্গলবার আলিপুর বডিগার্ড লাইনে পুলিশদের দুর্গাপুজো নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তিনি জানান, 'দুর্গাপুজোয় শহর যেন সচল থাকে। যানজট রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সব রাস্তাকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সুষ্ঠুভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।'
আরও পড়ুন: পুজোয় কোন রাস্তা বন্ধ, মণ্ডপে যাবেন কোন পথে? গাইড ম্যাপ প্রকাশ কলকাতা পুলিশের
লালবাজার সূত্রে খবর, চতুর্থী থেকেই দুই দলে ভাগ করা হচ্ছে ৯ হাজার পুলিশকে। প্রথম দলের দায়িত্ব যান নিয়ন্ত্রণ করা। চতুর্থী থেকেই শহরের বিভিন্ন রাস্তায় পার্কিং বন্ধ করে দেওয়া হবে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল রাসবিহারী অ্যাভিনিউ। এখানে পার্কিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও বিকল্প পার্কিং–সহ ট্রাফিক সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যবস্থা আগাম সেরে রাখবে প্রথম দলটি। তার জন্য মোট ৪ হাজার পুলিশকে শহরের মহানগরে নামাচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ।
অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, ইনস্পেক্টর, সার্জেন্ট পদমর্যাদার অফিসার–সহ কনস্টেবলরা এই দায়িত্বে থাকবেন। দ্বিতীয় টিমকে বলে হচ্ছে 'হোমোজিনিয়াস ফোর্স'। যাঁরা সংখ্যায় পাঁচ হাজার। ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং যানবাহন সচল রাখতে মোতায়েন করা হচ্ছে তাঁদের। সমস্ত বড় পুজো প্রাঙ্গণে থাকছে পুলিশের অস্থায়ী কিয়স্ক। দর্শনার্থীদের সহায়তার জন্যও রাস্তায় থাকবেন পুলিশের টিম। শহরের সমস্ত বড় পুজোর প্রবেশ পথ ও বাহির পথে হাজির থাকবেন তাঁরা। এছাড়াও বেপরোয়া মোটরবাইক ধরতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় নাকা চেকিং করবে ১৬টি টিম।