এই কয়েকদিনে দুর্গাপুজোকে সামনে রেখে ৫০ হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে এখনও পর্যন্ত। যে পরিসংখ্যান বেশ প্রশংসনীয় বলেই মনে করছে শিল্পের মহল।ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এবছর দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর তরফে কালচারাল হেরিটেজের বিশেষ স্বীকৃতি দানের জন্যই লক্ষ্মীলাভ। অন্যতম পুজো উদ্যোক্তা শাশ্বত দাস জানিয়েছেন, ”দুর্গাপুজোকে বিশ্বের দরবারে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এবছরের কোনও ক্ষেত্রে ঘাটতি হয়নি কোনও। বিশেষত বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলির কাছ থেকে বেশ সাহায্য পাওয়া গিয়েছে। ”
advertisement
আরও পড়ুন: আরও কয়েক গুণ চাপ বাড়াল সিবিআই, অনুব্রতর সঙ্গে জুড়ে গেল হাওয়ালা-যোগ!
পরিসংখ্যান বলছে, কলকাতা, শিলিগুড়ি, আসানসোল, দুর্গাপুর, মালদা সহ মফঃস্বলের একাধিক মলগুলি কেনাকাটার ভিড় গত কয়েক বছরের তুলনায় রেকর্ড গড়েছে। এছাড়া মফঃস্বলের একাধিক ছোট-বড় দোকান যে ব্যবসা করেছে তা গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেশি। তাছাড়া হোটেল-রেস্তরাঁ, আবগারি ক্ষেত্রেও ব্যাপক বেড়েছে ব্যবসা। বৃদ্ধির পরিমাণ ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ। রাজ্যের শিল্প মন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন, "আসলে করোনার ২ বছর দুর্গাপুজোকে ঘিরে সকলের আবেগ থাকলেও ব্যবসা বিস্তারের ঝুঁকি সে অর্থে কেউ দেখাতে পারেননি।
আরও পড়ুন: টানা সাড়ে চার ঘণ্টা, কার্নিভালে চমক দিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কিন্তু এবছর করোনার প্রকোপ কম। একই সাথে ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা। দেশ-বিদেশের অতিথিদের কাছে পুজো নিয়ে পৌঁছে যাওয়া। যার জেরেই দুর্গাপুজোয় এবছর বঙ্গের কোষাগার ফুলেফেঁপে উঠেছে।" গত দু’বছর ধরে মহামারীর প্রকোপ ম্লান করে দিয়েছিল উৎসবের উদযাপন, আনন্দ গ্রহণকে। ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের তরফে তথ্য দিয়ে জানানো হয়েছে, এবছরের দুর্গাপুজোয় বাণিজ্যের অঙ্ক ছুঁয়েছে ৫০ হাজার কোটি।