বেআইনি ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ ও ব্যবহার করার অভিযোগে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ এখনও পর্যন্ত সারা রাজ্যে ১,৩৩৯টি পুজো কমিটিকে জরিমানা করেছে। রাজ্য জুড়ে সংস্থার বিভিন্ন রিজিওনাল ও ডিভিশনাল অফিসগুলির পক্ষ থেকে ৬,৯৯৯টি পুজো প্যান্ডেলে রুটিনমাফিক তল্লাশি চালানোর পরে ওই সংখ্যক পুজো কমিটিগুলিকে জরিমানা করা হয় বলে বিদ্যুৎ পর্ষদ সূত্রে খবর। ৭,৫৪৪ কেভি বিদ্যুৎ অবৈধ ভাবে ব্যবহার করায় ২৩ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যদিও অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের দায়ে গত ২০২১-এ ১,৭৯৬টি পুজো কমিটিকে ৩০ লক্ষ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল বলে নিগম সূত্রে দাবি করা হয়েছে। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় পুজোর জন্য অতিরিক্ত চাহিদা-সহ বিদ্যুতের মোট চাহিদা দাঁড়ায় ৭ হাজার ১২০ মেগাওয়াট বলে পর্ষদ সূত্রের খবর।
advertisement
আরও পড়ুন- যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যই শেষ কথা, ভিস্তারার কিছু উড়ানে চালু করা হল লাইভ টিভি
বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যুতের ক্ষতি ও পরিকাঠামোগত ক্ষতির বিরুদ্ধে জেলাস্তরে সিকিউরিটি অ্যান্ড লক প্রিভেনশান সেল গঠন করা হয়েছে। যেখানে পুলিশের একজন প্রাক্তন ডিএসপি, দফতরের ইঞ্জিনিয়ার, অফিসার ও কর্মীদের রাখা হয়েছে। তাঁরা মূলত জেলার বিভিন্ন ব্লকের স্টেশন ম্যানেজার এবং সংশ্লিষ্ট থানাকে সঙ্গে নিয়ে বিদ্যুৎ চুরির বিরুদ্ধে অভিযান করছেন। শুধু গ্রামীণ এলাকায় নয়, শহরের বিভিন্ন এলাকাতেও বিদ্যুৎ চুরির ঘটনা সামনে আসছে। আইন অনুযায়ী, বিদ্যুৎ চুরির অপরাধে ধরা পড়লে প্রথমে সেই বাড়ি বা সংস্থার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। এরপর সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করা হয়। পাশাপাশি জরিমানা করা হয়। তবে এই জরিমানা বাধ্যতামূলক বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- অসুরের মুখ যেন মহাত্মা গান্ধি ! তুমুল বিতর্কের পর বদলানো হল মূর্তির মুখ
জরিমানা মেটানোর পর নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। তবে এই মামলা জেলার স্পেশাল কোর্টে চলতে থাকে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, গত দু’মাসে বহু অভিযান ও মামলা দায়ের হয়েছে। অনেকেই এই জরিমানা দিয়েও দিয়েছে। কিন্তু যাঁরা দিতে পারছেন না, তাঁরা রোজ বিদ্যুৎ অফিসে এসে কাকুতিমিনতি করছেন। তবে জরিমানা নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে কোম্পানি।