অনেক পদ্ম নেতা-কর্মী-সমর্থকদের প্রোফাইল পিকচার থেকে কভার ফটো পরিবর্তনে রীতিমতো হিড়িক পড়ে গেছে। বাংলার ও বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। তবে বাংলার দুর্গোৎসব এখন আর শুধুমাত্র বাঙালিদের মধ্যেই আর সীমাবদ্ধ নয়, উৎসব এখন সবার। পিতৃপক্ষের অবসান হয়েছে। সূচনা হয়েছে দেবীপক্ষের। উৎসবের আনন্দে ভাসছে গোটা বাংলা। করোনা মারণ ভাইরাসের দাপটে গত দু'বছর আতঙ্কে সেভাবে উৎসবে গা ভাষাতে পারেনি বাংলার মানুষ। কিন্তু উৎসবের আনন্দ এবার চেটেপুটে উপভোগ করতে প্রস্তুতি একেবারে শেষ পর্যায়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: জেলে ভোর ভোর 'মহিষাসুরমর্দ্দিনী' শুনে অন্য খাবারের আবদার অনুব্রত মণ্ডলের!
যদিও কলকাতা সহ ইতিমধ্যেই বাংলার বেশ কিছু পুজোর উদ্বোধন সম্পন্ন হয়েছে। শাসক দলের পাশাপাশি উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নিতে পুজোর পিচে চমক দেওয়ার 'খেলা শুরু' করে দিয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও। জনসংযোগের পাশাপাশি পুজোর উদ্বোধনে একদিকে যেমন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যাচ্ছে ঠিক তেমনি গেরুয়া শিবির উৎসবের মরশুমে 'মুখ' করেছে মিঠুন চক্রবর্তীকে। শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ইস্যুতে ইতিমধ্যেই সোচ্চার হয়েছে গেরুয়া শিবির। 'চোর ধরো জেল ভরো' এই স্লোগানকে সামনে রেখে নানান আন্দোলন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি।
আরও পড়ুন: শুরু হয়েছে অগ্নিপথ প্রকল্পে অগ্নিবীর নিয়োগের র্যালি, জানুন
উৎসবের মরশুম শেষ হলেই ফের এই একই স্লোগানকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের নানান দুর্নীতি ইস্যুতে পথে নামার কথা জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি। এবার শারদ উৎসবেও তাদের হাতিয়ার দুর্নীতি ইস্যু। বাংলার পদ্ম শিবিরের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় শারদ শুভেচ্ছাতেও তৃণমূল কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে হাতিয়ার কার্যত একই স্লোগান। বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে নয়া স্লোগান পোস্টারের যে আত্মপ্রকাশ করা হয়েছে তাতে উল্লেখ আছে "মহামায়ার আগমনে বাংলায় সুদিন আসুক ফিরে, চোরেরা যাক জেলে"। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে পদ্মফুল শিবিরের অনেক নেতা কর্মী সমর্থকদের ফেসবুক সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতেই দেখা মিলছে জোড়া ফুল শিবিরকে নিশানা করে গেরুয়া শিবিরের শারদ শুভেচ্ছার নয়া স্লোগান পোস্টার। দলের অনেকের প্রোফাইল পিকচার থেকে কভার ফটোতে নজরে পড়ছে সেই ব্যতিক্রমী শারদ শুভেচ্ছা বার্তা।