মানুষের আর্থিক মন্দা দুর্গোপুজোতে গতবার যে রকম ছাপ ফেলেছিল, এবারও ঠিক তেমনি। সকালবেলা কুমোরটুলিতে গিয়ে সেই রকম পেল্লাই উচ্চতার দুর্গা প্রতিমা প্রায় দেখা গেল না বললেই চলে। ঠাকুর নির্মাতাদের বক্তব্য, গতবারের থেকে এবার সংখ্যায় বরাত বেশি। যেহেতু করোনা থার্ড ওয়েভ এখনও পর্যন্ত থাবা বসাতে পারেনি, তাই অনেকেই দুর্গাপুজো করছেন এবার।
advertisement
আরও পড়ুন: বদলে গেছে কতকিছুই, তবু আজও ঐতিহ্য মেনে পুজো হচ্ছে নন্দীবাড়ির দালানে!
যে গাড়িগুলো ঠাকুরের মূর্তি বহন করে, সেগুলি আগে দেখা যেত বড় বড় ট্রাক কিংবা ট্রলির ব্যবস্থা করতো পুজোর উদ্যোক্তারা। এবার ম্যাটাডোরের বেশি খুব একটা বড় গাড়ির সংখ্যা দেখা গেল না। কুমোরটুলির ঠাকুর নির্মাতা সূচন্দ্রিমা পন্ডার দাবি, আর্থিক সংকটের জন্য ঠাকুরের উচ্চতা এবং আয়তন কমেছে। দশ থেকে বারো ফিটের ঠাকুর তৈরি হয়েছে হাতে গোনা।বেশিরভাগ ঠাকুর পাঁচ থেকে আট ফিটের মধ্যে। অনেকের দাবি, গতবারের থেকে ঠাকুরের বরাত একটু বাড়লেও ঠাকুর আয়তনে ছোট হয়ে যাওয়ার জন্য, মুনাফা একটু কমে গেছে। শেষ বরাত পেয়েছে পনের দিন আগে। অপর দিকে বৃষ্টি, নিম্নচাপ। যার ফলে বড়ো ঠাকুর তৈরি করার সাহস দেখায়নি অনেকেই। শিল্পের ছোঁয়াতে মায়ের চক্ষু দানের পর , সবাই তাকিয়ে মায়ের দিকে। যদি তাঁর আশীর্বাদে খরা কাটে! সকাল থেকে পুজো উদ্যোক্তাদের ঠাকুর নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা চোখে পড়ার মত। পুজো শুরু হয়ে গেল বাঙালির।