যদিও প্রার্থী তালিকায় নাম থাকা চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন সরে দাঁড়িয়েছেন। চাঁপদানির বিধায়কের নামও ছিল বৈদ্যবাটি পুরসভার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায়। সূত্রের খবর, দলের এক শীর্ষ নেতৃত্বের কথায়, শেষ পর্যন্ত দলের নির্দেশ মেনে তিনি সরে দাঁড়ালেন। ফলে দুলাল ঘোষ ব্যতিক্রমী হিসাবেই তিনি থেকে যেতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: একগুচ্ছ নির্দেশিকা পুরভোট নিয়ে, দলের সর্বস্তরে স্পষ্ট নীতি জানিয়ে দিল তৃণমূল
advertisement
গত শুক্রবার দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, কোনও বিধায়ক প্রার্থী হবেন না। কার্যত এক ব্যক্তি, এক পদ নীতি প্রযোজ্য হচ্ছিল এই ক্ষেত্রে। এ ছাড়া একই পরিবারের অনেকে যাতে প্রার্থী না হন সেটিও জানানো হয়েছিল। তবে বেশ কতগুলি জায়গায় একই পরিবারের একাধিক সদস্যের নাম আছে প্রার্থী তালিকায়।
দুলাল বাবু দীর্ঘদিন ধরে মহেশতলার পুরসভার সঙ্গে জড়িত। তাঁর স্ত্রী কস্তুরি দাসের মৃত্যুর পরে, তিনি মহেশতলার বিধায়ক পদে দাঁড়িয়ে জিতে আসেন। দুলাল দাসের মেয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায়ও কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর। একই সঙ্গে তিনি আবার বিধায়কও বটে। ফলে বাবা-মেয়ে দু'জনেই ব্যতিক্রমী।
আরও পড়ুন: পদ্ম না-পসন্দ, সোনাগাছিতে রক্ত দিয়ে এ কী করলেন মদন মিত্র! চমকে উঠলেন সকলে...
অন্যদিকে, হুগলি জেলায় একাধিক পুরসভায় এক পরিবার থেকে জোড়া প্রার্থী হয়েছেন। উত্তরপাড়া-কোতরং পুরসভার বিদায়ী পুরপ্রধান দিলীপ যাদব লড়াই করছেন ১২ ওয়ার্ড থেকে। তাঁর স্ত্রী প্রার্থী হয়েছেন ১৬ ওয়ার্ড থেকে। রিষড়া পুরসভার বিদায়ী পুরপ্রধান বিজয়সাগর মিশ্র লড়াই করছেন ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। তাঁর ভাই সুখসাগর মিশ্র লড়াই করছেন ১৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে।
অন্যদিকে চাঁপদানি পুরসভার বিদায়ী পুরপ্রধান সুরেশ মিশ্র ও তাঁর স্ত্রী শর্মিষ্ঠা মিশ্র দু' জনেই টিকিট পেয়েছেন। তারকেশ্বর পুরসভার বিদায়ী পুরপ্রধান উত্তম কুন্ডু ও তার স্ত্রী কুহেলি কুন্ডু দু'জনেই টিকিট পেয়েছেন।তবে টিকিট পাননি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, বিধায়ক তপন দাশগুপ্তের ভাই গোবিন্দ দাশগুপ্ত। তিনি হুগলি-চুচুঁড়া পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন।