প্রতি ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম বিধি মেনেই দু'জন যাত্রী তোলা যাবে অটোতে। তবে নির্দিষ্ট দূরত্ব যেতে গুণতে হবে আগের দ্বিগুণ ভাড়া। সাধারণভাবে এতোদিন অটো-রিকশায় চারজন যাত্রী নেওয়া যেত। করোনা সতর্কতার কারণেই যাত্রী সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়েছে দু'জনে। কিন্তু দূরত্ব যেহেতু কমছে না, তাই চারজন যাত্রীর ভাড়া এখন থেকে বহন করতে হবে দু'জনকে।
advertisement
ধরা যাক, যাদবপুর থেকে গড়িয়াহাট যেতে এতদিন মাথা পিছু ভাড়া লাগত ১১ টাকা। অর্থাৎ চার জন যাত্রী নিয়ে অটোর এক ট্রিপে আয় ছিল ৪৪ টাকা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অটো চারজনের পরিবর্তে দু'জন যাত্রী নিতে পারবে। সেক্ষেত্রে যাদবপুর থেকে গড়িয়াহাট যেতে প্রত্যেক যাত্রীকে দিতে হবে ২২ টাকা ভাড়া।
পাবলিক বাস রাস্তায় না নামায় স্বল্প দূরত্বে আপাতত অটো-রিকশাই ভরসা সাধারণের। তাই বাড়তি ভাড়া দিয়েই মানুষকে পৌঁছতে হবে গন্তব্যে। নর্থ ক্যালকাটা অটো-রিকশা অপারেটর্স ইউনিয়নের সভাপতি অশোক চক্রবর্তী জানান, সরকারি নিয়ম মেনে তাদের ৫০টির বেশি রুটে অটো চালানোর জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। চালক, যাত্রী উভয়কেই মাস্ক পড়তে হবে। গাড়িতে মজুত রাখতে হবে স্যানিটাইজার। দিনের শেষে স্যানিটাইজ করতে হবে অটো-রিকশাকে।
ক্যালকাটা অটো-রিকশা অপারেটর্স ইউনিয়নের অন্যতম প্রতিনিধি প্রদীপ সাহা জানান, অটো-রিকশা ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে কার্যকরী ভূমিকা নেয় ইউনিয়নগুলো। তাদের প্রস্তাবিত ভাড়া মেনে নেওয়া হলে ক্ষতির ধাক্কা সামলে নেওয়া যাবে বলেই দাবি তার। কলকাতায় এই মুহূর্তে প্রায় ১২৫ রুটে অটোরিকশা চলাচল করে। শহরে বৈধ কাগজধারী অটো-রিকশার সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার।
PARADIP GHOSH