ওয়ার্ডে পড়ে মৃতদেহ। দেহ সরানোর কেউ নেই। নেই চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। দেহ মর্গে পৌঁছে দিতে রোগীর আত্মীয়দেরই পরতে হল পিপিই। এটাই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছবি।
ঘটনার সূত্রপাত, গত পাঁচ মে। দমদমের কাশীপুরের রাজাবাগানের বাসিন্দা হজরত জামা অসুস্থ বোধ করেন। স্থানীয় চিকিৎসক কলকাতা মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। শ্বাসকষ্ট থাকায় তাঁকে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। মাত্র কয়েকঘণ্টার মধ্যে পরিবারের কাছে খবর যায়, হজরতের মৃত্যু হয়েছে। তারপর মৃত্যুর কারণ নিয়ে পুরো পরিবারকে অন্ধকারে রাখা হয়। এমনকি, মৃতদেহ মর্গে সরানোর জন্য রোগীর আত্মীয়দের হাতে পিপিই তুলে দেওয়া হয়। সেই পিপিই পরেই ভাইয়ের দেহ মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। সাহায্যের জন্য এক ব্যক্তিকে ভাড়াও করে পরিবার।
advertisement
৬ তারিখের মৃত্যু। তারপর কলকাতা মেডিক্যালে দেহ নিয়ে টানাপোড়েন। কী কারণে মৃত্যু সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না মৃতের পরিবারের লোকজন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পিপিই পরে মর্গে দেহ সরানো নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। কিন্তু, দেহ নিয়ে কেন টানাপোড়েন? উত্তর নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে।