কেন্দ্রের তরফে এবার এই বৃহৎ কর্মযজ্ঞের স্বীকৃতি মিলল। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক দুয়ারে সরকার পোর্টালের কাজের প্রশংসা করেছে। তার জন্য ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ পুরস্কার দেওয়া হবে। এই মুহূর্তে রাজ্যে চলছে এই প্রকল্প। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা চলবে। তারই মধ্যে সুখবর এসে পৌঁছল। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক স্তরে প্রশংসা পেয়েছে রাজ্যের এই প্রকল্প। এই কর্মসূচি নজর কেড়েছে ইউনিসেফের।
advertisement
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার ৬৩টি জনমুখী কর্মসূচি ও পরিষেবা বাংলার সাড়ে ৮ কোটি মানুষের কাছে ‘দুয়ারে সরকার’ -এর মত অভিনব পদ্ধতিতে পৌঁছে দিচ্ছে। এর আগে রাষ্ট্রপুঞ্জ তথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এমন উন্নয়নের ধারাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্র সরকার প্লাটিনাম অ্যাওয়ার্ডে রাজ্য সরকারকে ভূষিত করায় আমরা খুশি। আশা করব, দুর্মুখেরা এখন কিছুদিন বিশ্রাম নেবে।
আরও পড়ুন- কেতুর দোষ না ধনদোষ? ছায়া গ্রহের গোচর কী নিয়ে আসছে ভাগ্যে নতুন বছরে
রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায় জানিয়েছেন, ‘‘দুয়ারে সরকার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প। আর এই প্রকল্পকে স্বীকৃতি জানিয়েছে বাংলার মানুষ। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলা জুড়ে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলেছে। পরিষেবা পাচ্ছেন মানুষ। বিরোধীদের যোগ্য জবাবও দিয়েছেন বাংলার মানুষ। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারও মানল দুয়ারে সরকারের সাফল্যকে।’’
রাজ্য সভার সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন জানিয়েছেন, ‘‘নির্বাচনের আগে অনেকেই দুয়ারে সরকারকে যমের দুয়ারে বলে কটাক্ষ করেছে। করেছেন অপপ্রচারও। এবার তাঁদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার পুরস্কৃত করল রাজ্য সরকারকে। বলা ভাল, বাধ্য হল স্বীকৃতি দিতে। কিন্তু রাজ্যের কোটি কোটি মানুষ দুয়ারে সরকারের প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। এই প্রকল্পকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বাংলার মানুষের প্রত্যাশাও। কারণ এক ছাদের তলায় মিলছে নানান সুবিধা। আমি মনে করি কন্যাশ্রী প্রকল্প নেদারল্যান্ডসে যেভাবে রোল মডেল হয়েছে এই দুয়ারে সরকার আগামী দিনে ভারতবন্দিত হওয়ার পর বিশ্ববন্দিত হবে। বাংলার উন্নয়ন এগিয়ে চলেছে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে। মানুষের আস্থাও রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি।’’