বেশকিছু রয়েছেন, যাদের অটোর কিস্তি চলছে ব্যাংকে। টানা দু'মাস লকডাউন এর ফলে রোজগার একেবারে নেই। সেই অটোচালকদের যদি সমাজ সেবা করতে নামানো হয় ,তাহলে তাদের হাঁড়ি চড়বে কি করে? সেটাই প্রশ্ন অটো ইউনিয়ন গুলির। যে রুটের ভাড়া ছিল দশ টাকা ,সেটা হয়েছে কুড়ি টাকা। বেলেঘাটা আইডি হসপিটাল থেকে আর জি কর হাসপাতাল অবধি আগে ভাড়া ছিল ১৬ টাকা এখন সেই ভাড়া হয়েছে ২৫ টাকা।হিসাবটা বেশ মজার।শুরু থেকে শেষ অবধি যাত্রী সব সময় পাওয়া যায় না। বেশীর ভাগ যাত্রী,রাস্তার মধ্যে নামে।যার ফলে দ্বিগুণ ভাড়ার হিসাব থাকে না।যাত্রীর জন্য দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকতে হচ্ছে, অটো চালকদের।
advertisement
বেশ কিছু অটো চালক বলেই ফেললেন,বেশি দিন এই ভাবে অটো চালানো সম্ভব না।যদি অন্য রাজ্যের মত এই রাজ্যে অটোতে মিটার বসানো থাকত, তাহলে এই সমস্যা হত না।অটো রুট নির্দিষ্ট থাকত না। তাতে যাত্রীদের সঙ্গে বেশি ভাড়া নিয়ে কোন ঝামেলা হত না।এই লকডাউন চলা কালীন যাত্রীর সংখ্যা নিয়ে কোনও সমস্যা হত না।পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অটো যাত্রীরাও বলেন,অটোতে মিটার বসানো খুব জরুরি।স্মৃতি টেনে কেউ বলেন, অনেক আগে এই শহরেও অটোতে মিটার বসানো ছিল।হঠাৎ করে সেই মিটার উধাও হয়ে যায় শহর থেকে। তার পর থেকেই অটো রিক্সার দৌরাত্ম বেড়ে যায়।রাস্তায় বাড়তে থাকে,বেআইনি অটো।
SHANKU SANTRA