তিস্তা নদীর সেবক থেকে শুরু করে মাল, রাজগঞ্জ, সদর ব্লক হয়ে ময়নাগুড়ি পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ে ৬০ কিলোমিটার নদী খননের জন্য এমডিটিসিএল-কে দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্য সরকার।সিকিম বিপর্যয়ের সময় বালি, পলি, পাথরের আস্তরণে গভীরতা কমে গিয়েছিল খরস্রোতা তিস্তার। তিস্তাপাড়ের লালটং বস্তি পলির আস্তরণে মিলিয়ে যায়। নদীপথেও অনেক জায়গায় পরিবর্তন হয়েছে। পলি তোলা হলে, সেসব সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। নদীকে পুরনো গতিপথে ফিরিয়ে আনা যাবে বলেও মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে দীর্ঘ সমীক্ষার পর পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়।
advertisement
এ বার রাজ্য সরকারের অনুমোদন দিল তিস্তার খনন কার্যের।প্রতি বছর বন্যার ফলে গতিপথ বদলে যাচ্ছে তিস্তা নদীর। যার ফলে তিস্তা পার্শ্ববর্তী এলাকা সুরক্ষিত রাখতে পলি তোলার কাজ শুরু হতে চলেছে। মূলত ২০২৩ সালে সিকিমে প্রবল বন্যায় তিস্তায় পলি জমে গিয়ে নদীর নাব্যতা কমে গতিপথে বদল হয়েছে। পুরনো নদীপথে তিস্তাকে প্রবাহিত করার চেষ্টার লক্ষ্য রেখে এই নদীতে শুরু হবে ড্রেজিংয়ের কাজ। তিস্তা থেকে উঠে আসা বালি সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন : উত্তরবঙ্গ ভিজবে বৃষ্টিতে, দক্ষিণবঙ্গে চরম আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি ! আগামী ক’দিন আবহাওয়া কেমন? দেখে নিন
সেচ দফতরের তত্ত্বাবধানে তিস্তা নদী খননের কাজ করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এমডিটিসিএল (মিনারেল ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড ট্রাডিং কর্পোরেশন লিমিটেড) বলে জানা গিয়েছে। চলতি বছরেও আজ অবধি সিকিমে যে পরিমাণ ভারী বৃষ্টি হয়েছে তার ফলে পলি নিম্ন অববাহিকায় জমা হতে শুরু করেছে। আর এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব বোঝা যায় জলপাইগুড়ি জেলায়। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে উত্তরের প্রাণ তিস্তা রক্ষায় চলতি বছরেই পলি নিষ্কাশনের কাজ শুরু করা হবে।