কলকাতা পুরসভার প্রথম নির্বাচিত বোর্ডের দায়িত্ব পালন করেছেন সুভাষচন্দ্র বসু। ৪৫ মিনিটের তথ্য়চিত্রের বেশিরভাগ অংশই সুভাষচন্দ্র বসু ও কলকাতা পুরসভাকে কেন্দ্র করে৷ তখন ব্রিটিশরা শাসন করছে৷ সেই কলকাতায় পুরসভার বোর্ডের সিইও হিসেবে কাজ করেন সুভাষ৷ তারপর কলকাতার পুরসভার মেয়র হন৷ তথ্য়চিত্রে মেয়র সুভাষচন্দ্র বসুর কাজের খতিয়ানও তুলে ধরা হয়েছে৷
ব্রিটিশ ভারতে কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে জয়লাভ করে মেয়রের চেয়ারে বসেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস৷ সেদিন ছিল ১৬ এপ্রিল, ১৯২৪৷ সেই পুরবোর্ডে সিইও-র দায়িত্বে আসেন সুভাষচন্দ্র বসু৷ কলকাতা পুরসভার সিইও থাকার সময় একদিন গামবুট পরে অফিসে আসেন তিনি৷ বৃষ্টি শুরু হতেই চলে যান ঠনঠনিয়ায়৷ সামান্য় বৃষ্টিতেই কেন ঠনঠনিয়ায় জল জমে, তা জানতেই সেদিন অভিযানে নামেন সুভাষচন্দ্র বসু৷ পার্ক স্ট্রিটে এক নিরীহ ঝাড়ুদারকে গুলি করার অভিযোগ ওঠে ব্রিটিশ পুলিশের বিরুদ্ধে৷ প্রতিবাদে মুখর হন পুরসভার সিইও সুভাষচন্দ্র৷ টেগার্ট সাহেবকে লেখা চিঠিতে গর্জে উঠেছিল সুভাষের কলম৷ ফলও ভুগতে হয়েছিল৷ ব্রিটিশ পুলিশ গ্রেফতার করে সুভাষচন্দ্র বসুকে৷
advertisement
এরকমই নানা অজানা সত্য়ি ঘটনা নিয়ে তথ্য়চিত্র। ৪৫ মিনিটের তথ্যচিত্রে পুরসভার বিভিন্ন নথিও তুলে ধরা হয়েছে। তথ্যচিত্রে রয়েছে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্যও। তিনি বলেন, ‘আমি উত্তরসূরি হিসেবে কলকাতা পুরসভার মেয়রের চেয়ারে বসে আছি ঠিকই, কিন্তু শাসক হিসেবে তাঁর নখের যোগ্য নই।কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘মেয়র হিসেবে ওঁর ব্যবহার করা চেয়ারে আমি বসিনি, সেটি সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে’।