ইতিমধ্যেই গুজরাত এবং মোদির বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্র দেখানো নিয়ে দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যেই ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটেছে। যাদবপুরের পাশাপাশি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়তেও এবার এই তথ্যচিত্র দেখানোর তোড়জোড় শুরু করেছে ছাত্র সংগঠন এসএফআই। ২৭ জানুয়ারি বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই এই তথ্যচিত্র দেখানো হবে। তবে এই তথ্যচিত্র দেখানোর জন্য কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়েছে কী না, তা জানা যায়নি ৷
advertisement
আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় আগামিকাল প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস
যদিও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, তথ্যচিত্র দেখানো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এখনও কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে এসএফআই-এর তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্র নেতারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তারা এই তথ্যচিত্র দেখাবেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল সাইট জুড়ে তার প্রচারও শুরু করেছে এসএফআই।
আরও পড়ুন- ‘অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হলে গতবারের থেকে এবার কয়েকগুণ বেশি আসন পাব...’: সুকান্ত
গুজরাত হিংসা এবং নরেন্দ্র মোদি বিষয়ক তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’-এই তথ্যচিত্র কে কেন্দ্র করে একের পর এক ঘটনা। তথ্যচিত্রটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই তা নিয়ে নিন্দা সরব হয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক মন্ত্রীর তরফে এই তথ্যচিত্রকে বিভ্রান্তিকর এবং দেশের সংহতি রক্ষার পক্ষে ক্ষতিকর হিসেবে উল্লেখ করেছেন। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দেশের সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে দিতে বলা হয়েছে এই তথ্যচিত্রের যাবতীয় লিংক।
যদিও এই নিষেধাজ্ঞা সত্বেও মঙ্গলবার দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় এই তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ তার আগেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। এমনকী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের তরফে অভিযোগ আনা হয়, এবিভিপি সদস্যরা তাদের দিকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছে। তা নিয়ে তারা থানায় অভিযোগও জানিয়েছে। আর এই প্রেক্ষাপটেই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠন এসএফআই এই তথ্যচিত্র দেখাচ্ছে। যা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই তথ্যচিত্র দেখানোকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলের আশঙ্কাও করছে কর্তৃপক্ষ।