স্বাস্থ্য ব্যবস্থাটাই যেন থমকে দাঁড়িয়ে। টিমটিম করে চালু শুধু এমারজেন্সি। সেখানে হাতে গোণা মানুষই চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন। এনআরএস হোক বা এসএসকেএম কিংবা মেডিক্যাল কলেজ - শহর কলকাতার সব হাসপাতালের ছবিটা একইরকম।
এনআরএসে চিকিৎসক নিগ্রহের প্রতিবাদে কর্মবিরতি। তার সঙ্গে সোমবার দেশের সব হাসপাতালে কাজ বন্ধ রেখে প্রতীকী প্রতিবাদের ডাক দেয় আইএমএ।
advertisement
রাজ্যের অন্যতম বড় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। সোমবারও আউটডোরে চিকিৎসা নিতে ভিড় করেছিলেন রোগীরা। কেউ কর্মবিরতির খবরটাও পাননি। কারও আশা ছিল, শেষ মুহূর্তে হয়তো ডাক্তার দেখানোর সুযোগ মিলবে। হতাশ হয়েই ফিরতে হয়েছে। কলকাতা মেডিক্যালও ছবিটা একইরকম। চিকিৎসা না পেয়ে ফিরতে হয় রোগীদের।
এনআরএসের আ়উটডোরে তুলনায় রোগীর ভিড় অনেকটাই কম ছিল। সেখানে চিকিৎসা মেলেনি। তবে সকাল থেকে সন্ধে -- এমারজেন্সিতে চিকিৎসা পেয়েছেন প্রায় ১৮০ জন রোগী।
কর্মবিরতিতে বহির্বিভাগ বন্ধ থাকলেও বাইরে বসেই রোগী দেখেছেন চিকিৎসকরা। বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালের ছবিটা তাই সব অর্থেই অন্যরকম।
দূরদুরান্ত থেকে যাঁরা আউটডোরে চিকিৎসা করাতে এসেছেন, তাদের অনেকেই হাসপাতাল ছাড়তে চাননি। কর্মবিরতি উঠলে, চিকিৎসা করিয়েই ফিরতে চান তাঁরা।