স্কুলে যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে উলটে যায় ঋষভের পুলকার। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ঋষভকে হুগলি ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর গ্রিন করিডর করে এসএসকেএম। আর জ্ঞান ফেরেনি ঋষভের। ভেন্টিলেশনে রেখে শুরু হয় চিকিৎসা। তৈরি হয় সাত সদস্যের মেডিক্যাল টিম। ফুসফুসে অতিরিক্ত পরিমাণে কাদা জল ঢুকে যাওয়ায় শ্বাস নিতে পারছিল না ছ'বছরের ঋষভ। রাতেই তাকে কার্ডিও থোরাসিক বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়।
advertisement
একস্ট্রা করপোরিয়াল মেমব্রেন অক্সিজেনেশনের মাধ্যমে ফুসফুসে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ানো হয় ৷ ECMO লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে ঋষভের শরীরে কার্বন ডাইক্সাইডের পরিমাণ কিছুটা কমে। আশার আলো দেখেন চিকিৎসকেরা। ট্র্যাকিওস্টমি করে ফুসফুসের কাদা জল বের করার চেষ্টা হয় ৷
দু'দিন যেতে না যেতেই ফের অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। ফুসফুসের সংক্রমণ ছড়ায় শরীরের অন্য অঙ্গে। একে একে কমজোরি হতে থাকে কিডনি, লিভার,হার্ট।
একমো সাপোর্ট থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিল না ঋষভ ৷ প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায় ৷ আরও গভীর হয় সঙ্কট। ক্রমশ মাল্টিঅরগ্যান ফেলিওরের দিকে এগোয় ঋষভ।
জরুরি বৈঠকে বসে মেডিক্যাল বোর্ড। শুক্রবার রাতে অবস্থার আরও অবনতি হয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ঋষভকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা শুরু করেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু ছোট্ট শরীর আর ধকল নিতে পারেনি। সকলের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে লড়াই শেষ হয় ছোট্ট ঋষভের।