লকডাউন চলাকালীন প্রতিনিয়ত অসংখ্য রোগী দেখেছেন। তারপর হঠাৎ অসুস্থ বোধ করায় 'হোম আইসোলেশন'-এ ছিলেন। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই তার শারীরিক সমস্যা বাড়তে থাকায় পরপর দু-বার লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। দু' বারই সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তারপরেও অবশ্য বাম নেতার শ্বাসকষ্ট কমেনি। ফলে চেষ্ট এক্সরে, সিটি স্ক্যান-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। সেখানেই দেখা যায় তাঁর মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে।
advertisement
এরপরই মঙ্গলবার মিন্টো পার্কের বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ফুয়াদ হালিমকে। তাঁর স্ত্রী ট্যুইটে সেই খবর জানান। বর্তমানে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ রাহুল জৈনের তত্ত্বাবধানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ফুয়াদ হালিম। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। ২৪ ঘন্টা পরে আবারও সিটি স্ক্যান করা হবে। পাশাপাশি, নিউমোনিয়ার ইঙ্গিত মেলায় তাঁর আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
অসংখ্য মানুষের মুখে হাসি ফোটানো চিকিৎসক ফুয়াদ হালিমের অসুস্থতার খবরে উদ্বেলিত সকলে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানান হয়েছে, আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। তবে আরও কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে তাঁকে।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার প্রবাদপ্রতিম স্পিকার তথা সিপিএম নেতা আব্দুল হালিমের পুত্র ফুয়াদ হালিম নিজে সিপিএমের সদস্য। গত লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে সিপিএমের হয়ে ভোটে লড়েন তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে। বিপুল ভোটে পরাজিত হন।
এ দিকে, ১২ বছর আগে ফুয়াদ হালিম, তাঁর পরিবার এবং দেশ বিদেশে ছড়িয়ে থাকা বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে পার্কস্ট্রিটের পাশে কিড স্ট্রিটের এমএলএ হোস্টেলের বিপরীতে একটি হাসপাতাল গড়েন 'কলকাতা স্বাস্থ্য সংকল্প'। মূলত গরিবের হাসপাতাল। সেখানে ৫৫০ টাকায় শুরু হয়েছিল ডায়ালিসিস করা। পরে কমিয়ে লকডাউনের আগে পর্যন্ত ৩৫০ টাকায় করা হত। কিন্তু লকডাউন ঘোষণা হতেই তিনি মানুষের কথা ভেবে তা ৫০ টাকায় নামিয়ে আনেন।
ABHIJIT CHANDA