সরকারি হিসেবে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা পঁয়তাল্লিশ হাজার। বেসরকারি হিসেব ধরলে সংখ্যাটা সত্তর হাজারের কাছাকাছি। ডেঙ্গির চিকিৎসা করাতে কলকাতা ও দুই চব্বিশ পরগনার বহু মানুষই বেলেঘাটা আইডির উপর নির্ভরশীল। শুধু ডেঙ্গি নয়, রাজ্যে সংক্রামক রোগের একমাত্র নোডাল হাসপাতাল বেলেঘাটা আইডি। কিন্তু হাতেগোনা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়ে কার্যত নিধিরাম সর্দার এই সরকারি হাসপাতাল।
advertisement
- বেলেঘাটা আইডিতে বিভিন্ন পদে শতাধিক চিকিৎসক থাকার কথা
- কিন্তু সেখানে চিকিৎসক ফ্যাকালটির সংখ্যা মাত্র ১ জন
- হাসপাতালে ৪ জন সিনিয়র চিকিৎসক রয়েছেন
- মেডিক্যাল অফিসার রয়েছেন ৮ জন
ডেঙ্গি বা যে কোনও ধরনের সংক্রামক রোগ নির্ণয়ে রক্ত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। অথচ বেলেঘাটা আইডির তিনটি ল্যাবে পর্যাপ্ত টেকনিশিয়ানই নেই।
বেহাল বেলেঘাটা আইডি
- হাসপাতালে ল্যাব টেকনিশিয়ান মাত্র ৮ জন
- রোগীর রক্ত সংগ্রহের জন্যও পর্যাপ্ত কর্মী নেই
- কর্মীর অভাবে দুপুরেই বন্ধ করে দিতে হয় হাসপাতালের ল্যাব
বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে টাকা খরচ করে রক্ত পরীক্ষা করাতে হয় অনেক রোগীকে। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট পেতেও হয়রানির শেষ নেই।
চিকিৎসকরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের পর রাজ্যে আরও বাড়বে ডেঙ্গির প্রকোপ। এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণন। ডেঙ্গি মোকাবিলায় দু’হাজার সতেরোয় একাধিক নির্দেশিকা দিয়েছিল হাইকোর্ট।
- নির্দেশিকা মেনে রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে?
- সেই রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ
২২ নভেম্বরের মধ্যে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিতে হবে স্বাস্থ্য দফতরকে।