পেশায় চিকিৎসক। আদতে জেলচক্রের মাথা। যে ধরা পড়তেই প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
তিনি মদ, গাঁজা, টাকা পৌঁছে দিতেন দুই আসামির কাছে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এই দুই আসামি হাসপাতালেই কাজ করে। একজন বক্কর। অন্যজন সাবির। এছাড়াও আলিপুর জেলের আরও তিন মেট, অর্থাৎ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিও এই কাজে যুক্ত। তারা হল স্বপন কাহালি, বিজয় ও চুন্নু।
advertisement
আর পড়ুন : আলিপুর জেলে বন্দিদের মদ, গাঁজা, হেরোইন পাচারে অভিযুক্ত চিকিৎসক গ্রেফতার
ইকবালপুর জোড়া মার্ডার কেসের আসামি শেখ সিকান্দার এদের মাথা। সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশের যাবজ্জীবন যাজাপ্রাপ্ত আসামি মুকুল। এছাড়াও নেপো, ফর্সা বাবাই, কালো বাচ্চা, জগা, বাপি-কে হাত করলেই জেলে সবকিছু মেলে।
আলিপুর জেলে কত টাকা খরচ করলে কী কী মেলে? বাজারের তুলনায় খরচটা একটু বেশিই।
এছাড়াও ফোন ব্যবহার থেকে শুরু করে খাবার পেতেও কোনও সমস্যা নেই। দু'থেকে তিন হাজার টাকা খরচ করলেই এসব মেলে। আর আরও ভাল খরচে আরও ভাল থাকার ব্যবস্থা। ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ করলেই হাসপাতালে আরামে থাকার ব্যবস্থা হয়ে যায়।
টাকা দিয়ে সব ম্যানেজ করার এমন ব্যবস্থাই জেলের মধ্যে চক্রকে সক্রিয় রাখে। যেমন লোকমুখে সবাই জানে আলিপুর জেলে সব থেকে দামি ফোন ব্যবহার করে পুলিশকে খুনের চেষ্টার আসামি গোপাল তিওয়ারি। তেমনই সদ্য জেলে পৌঁছেই হাসপাতালে ভরতি হওয়া এক নেতাও। তার জন্য সার্টিফিকেট তৈরি করে দেন অমিতাভ চৌধুরীর মতো চিকিৎসকরা। শুধু খরচ করতে পারলেই হল।