কিন্তু কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের কারণে মেলা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা প্রকাশ করেন অনেকেই। আদালতও বলে, যদি কোথাও দেখা যায় এই মেলার জন্য সংক্রমণ বাড়ছে, তা হলে দায় নিতে হবে প্রশাসনকে। এ সবের মধ্যেই সংক্রমণ রোধ করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে মেলার আয়োজন করে প্রশাসন। বিপুল হারে পরীক্ষা, টিকাকরণ, নজরদারির মধ্যে সাগর দ্বীপে কার্যত কড়া নজরে পালিত হয় মকর সংক্রান্তি (Gangasagar Mela)।
advertisement
তাই নিয়েই শুক্রবার কথা বলতে গিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন জানালেন, প্রশাসনের কাছে বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল এ বারের গঙ্গাসাগর মেলা। যাতে কোভিড পরিস্থিতিতেও সব কিছু খুব সুষ্ঠ ভাবে মিটে যায়, তার জন্য প্রায় ২৪ ঘণ্টা কাজ করেছেন তিনি ও তাঁর দল। তিনি বলেছেন, "অনেক পরিকল্পনা শেষ মুহূর্তে করতে হয়েছিল। তাও মেলা সুষ্ঠ ভাবে মিটে যাওয়ায় জেলা প্রশাসন খুশি।"
আসলে সত্যিই এ বারের মেলায় অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়েছিল প্রশাসনের উপর। তার একটাই কারণ, কোভিড। কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ে যখন সংক্রমণের পরিমাণ প্রতিদিনই নতুন নতুন করে নিজের রেকর্ড ভাঙছে, তখন মেলায় সংক্রমণ আটকে দিয়ে প্রশ্নাতীত আয়োজন করা নিতান্ত কঠিন কাজ বলেই মনে করা যায়।
জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জেলাশাসক উলগানাথন জানিয়েছেন, মেলা ঠিক করে মিটে যাওয়ার পর ধন্যবাদ জানিয়ে মুখ্যসচিবের তরফ থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠিতে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। পাশাপাশি, চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।