শুক্রবার সাড়ে তিন বছর পর তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। বিধানসভা ভোটের পর থেকেই দলে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করছিলেন তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন সোনালি গুহ (Sonali Guha), সরলা মুর্মু (Sarala Murmu), বাচ্চু হাঁসদারা (Bacchu Hansda)। সোনালী গুহও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দল ছেড়ে যাওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। তবে দলের কী সিদ্ধান্ত তাঁদের নিয়ে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সম্প্রতি বিজেপির আত্মসমালোচনা করা উচিৎ, পোস্ট করে জল্পনা উস্কে দিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। তিনি ছাড়াও বেসুরো শীলভদ্র দত্ত, প্রবীর ঘোষাল।
advertisement
এ দিন দীপেন্দু বলেছেন, তিনি ইতিমধ্যেই বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেছেন। তিনি ফের তৃণমূলের হয়েই কাজ করতে চান। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখনও কোনও বার্তা তিনি পাননি। ফলে বসিরহাট দক্ষিণের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক ফের তৃণমূলে ফিরতে কাতর আবেদন জানিয়েছেন। দীপেন্দু বলেন, "অভিমানে ভুল করেছি, দলে ফিরলে শুধরে নেব। ক্ষোভ নয়, অভিমানে দল ছেড়েছিলাম। ভুল হয়েছে বলে দিদিকে চিঠি দিয়েছিলাম।"
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে নারদকাণ্ডে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে CBI। প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গত্যাগ করেছিলেন দীপেন্দু বিশ্বাস। ই-মেল পাঠিয়ে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেন দীপেন্দু বিশ্বাস। ২০১৬ সালে বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছিলেন দীপেন্দু বিশ্বাস। তৃণমূলের টিকিটে জয়লাভ করলেও এ বছর টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়েই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন দীপেন্দু। কিন্তু নির্বাচনের পরেই মোহভঙ্গ হয়ে পুরনো দলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।