তাঁর কথায়, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইসব করতে গিয়েই তো শিল্পের অন্তর্জলী যাত্রা হয়ে গেছে। উনি তো শিল্পকে নিরাপত্তা দিতে পারছেন না। সিন্ডিকেটে, কাটমানির জন্য উন্নত কোন শিল্প হতে দিচ্ছেন না। যা ছিল সেগুলো উঠে যাচ্ছে। পশ্চিমবাংলায় বিদ্যুৎ সার প্লাস কেন? কারণ শিল্প উঠে যাচ্ছে বাংলা থেকে। আট-দশ বছর ধরে এখানে কোন বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হয়নি। শিল্প নেই তার জন্য বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে। তিনি বলছেন, বিদ্যুৎ এবার বিক্রি করবেন। যে সব শিল্পপতিরা এসেছেন, তারা যদি সকালে উঠে দেখেন যে টিভিতে তোলাবাজি বোমগুলি দেখানো চলছে, তাহলে কি তারা এখানে শিল্প করবেন? উনি চান না আন্তর্জাতিক কোনও শিল্পপতি এখানে আসুক। কারণ আন্তর্জাতিক সরাসরি কোন বিমান এখানে নেই। এখানে কোন শিল্প নেই। তাই সরাসরি কেউ এখানে আসে না। আসলে উনি চান না, এখানে শিল্প হোক।''
advertisement
আরও পড়ুন: শিল্পপতিদের সমস্যায় ফেলতে এজেন্সির ব্যবহার? রাজ্যপালের সাহায্য চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী
তৃণমূল তথা রাজ্য সরকারকে যতই কটাক্ষ করুন না কেন দিলীপ ঘোষ, তাঁর নিজের দলেও এখন কোন্দলের শেষ নেই। দলে কি সাহসী নেতৃত্বের অভাব ঘটছে? দিলীপের সাফ জবাব, ''যে ধরনের অত্যাচার চলছিল, তার বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়িয়ে ছিলাম। লোকে আমাদের বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল। আমি নিজে রাস্তায় বেরিয়েছিলাম। মানুষ পিছনে দাঁড়িয়েছিল। মানুষ আশীর্বাদ করেছিল। এখন মানুষের সেই আত্মবিশ্বাস নেই। রাজ্যের লোক চায়, আমরা মাঠে নেমে আন্দলন করি। সেই রোল আমরা প্লে না করতে পারলে মানুষ আমাদের বিরোধী হিসেবে রাখবে কেন? অনেক কিছুর অভাব আছে। প্ল্যানিং-এর অভাব আছে। মনোবলের অভাব আছে। কর্মীরা চেয়ে আছেন। কেউ পার্টি ছাড়েননি। ২০১৯ সাল পর্যন্ত যারা পার্টিকে দাঁড় করিয়েছেন, তারা মনে কষ্ট নিয়ে ঘরে বসে আছেন। তারা ঘন্টার পর ঘন্টা পার্টির জন্য সময় দিতেন। তাদের হাতে এখন কোনও কাজ নেই। সুকান্ত মজুমদার একা নন। অনেকেই আছেন। যোগ্য লোক বাদ দিলে কীভাবে হবে?''
আরও পড়ুন: 'বাংলার সব আশা পূরণ করব', বড় ঘোষণা গৌতম আদানির! বিপুল বিনিয়োগ, চাকরি
তথাগত রায়ের ট্যুইট খোঁচা নিয়েও পাল্টা কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ''যারা লোকের পায়ে ধরে চাকরি পেয়েছেন, যারা বিজেপি পার্টি অফিসকে পানশালা বানিয়ে দিয়েছিলেন, জীবনে ফুর্তি ছাড়া কিছু করেননি, যারা সিপিএম ও তৃণমূল থেকে সব সুবিধা নিয়েছেন, তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিজেপি যাতে কোনও দিন ৪ শতাংশের বেশী ভোট না পায়, সেই সব আহাম্মকদের কথা কে শোনে? বয়সের দোষ। ৭২ হয়ে গেলে মাথা কাজ করে না।