দীর্ঘ কয়েক বছরের ব্যবধানে মঙ্গলবার সল্টলেকে বিজেপি দফতরে পা রাখেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। বর্তমানের সঙ্গে কথাবার্তা ফোনেই সাড়া হয়ে গিয়েছিল। সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার, সৌজন্য বিনিময়। তারপরেই সিঁড়ি বেয়ে নেমে কর্মীদের ভিড়ে মিশে গেলেন তিনি ৷
advertisement
আজ, বুধবার দিল্লির পথে দিলীপ। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তলব। সেখানেই নির্ধারিত হবে প্রাক্তনের ভবিষ্যৎ ৷ বিজেপির অন্দরে কান পাতলে কি হয়, কি হয়! আসলে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দলের কাছে শাঁখের করাত! যেতেও কাটেন, আসতেও কাটেন! দিন শেষে তাই তাঁকে উপেক্ষা করা মুশকিল। দিলীপ কখন কী বলে বসবেন, সামাল দিতে হিমশিম খাওয়ার জোগাড়! এই অবস্থায় সমঝোতা সূত্র বার করার চেষ্টায় বেলাগাম দিলীপকে দিল্লি ডেকে পাঠিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব! সূত্রের খবর, সেখানে আলোচনা কোন দিকে গড়ায় তার উপরেই অনেকাংশে নির্ভর করছে দিলিপের রাজনৈতিক দিক ভবিষ্যৎ! তবে একইসঙ্গে বৈঠকে তাঁর সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও বিতর্কিত মন্তব্যের বিষয়েও দিলীপের মতামত/যুক্তি জানতে চাওয়া হবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে।
সম্ভাবনা ১, বিজেপির নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে দিলীপকে আবারও সহ-সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে ফিরিয়ে বাংলার বাইরে কোন রাজ্যের দায়িত্ব দিয়ে আপাতত ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনটুকু উতরে যাওয়া!
সম্ভাবনা ২, রাজ্য বিজেপির দৈনিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্ব সহকারে তাকে ফিরিয়ে এনে কোনও নির্দিষ্ট দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া।
রাজ্যের বাইরে সম্ভবত ত্রিপুরার দায়িত্ব পেতে পারেন দিলীপ। পড়শী রাজ্যের পর্যবেক্ষকের পদে বসানো হতে পারে এই রাজ্যের প্রাক্তনকে। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতিকে সেই ইঙ্গিত দেওয়াও হয়েছে। দিলীপের যে তাতে খুব আপত্তি রয়েছে, তা নয়! সবটাই নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে রফা, আলোচনা কোন খাতে বয় তার উপর।