এর পরেই দিলীপের সংযোজন, ‘দিলীপ ঘোষ তৈরি আছে। রাস্তায় রয়েছে। কর্মীদের মাঝে রয়েছে। যে কাজ আমায় দেওয়া হয়েছিল, তা আমি করেছি। এখন সুস্থ সবল রয়েছি। দল যে ভাবে ব্যবহার করবে, সে রকম ভাবেই কাজ করব। ম্যায় হু না।’
নাম না করে কি সুকান্ত-শুভেন্দুদেরই আক্রমণ শানিয়ে দিলেন তিনি? এদিন দিলীপ বলেন, ‘আমি কারওর সার্টিফিকেট চাইনি। কাউকে ওড়াতেও চাই না। আমার আমলেই এঁরা আমার কাছে এসেছিলেন। তাদের নিয়ে পার্টি কাজ করে এগিয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে দল তা হলে এখন এগোচ্ছে না কেন? সেই উত্তর খুঁজতে হবে।’
advertisement
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে দিলীপ ঘোষ সভাপতি থাকাকালীনই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ আবার তিনি সভাপতি থাকাকালীন ২০১৯ সালে প্রথমবার বালুরঘাট থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন সুকান্ত মজুমদার৷ পরবর্তী সময়ে দিলীপকে সরিয়ে রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পান সুকান্তই৷
তবে গত কয়েকদিনে দিলীপ ঘোষের কার্যক্রমে কিংবা বঙ্গ বিজেপিতে দিলীপ ঘোষের ফের সক্রিয়তার প্রবণতায় রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, দূরত্ব বেড়েছিল। যা নতুন রাজ্য সভাপতি শমীক মিটিয়েছেন। দিল্লিতে গিয়ে চেয়ার না পাওয়া নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করা দিলীপ এবার ফের প্রথমসারিতে। আর পুরনোদের সামনে বসানোর বার্তা তো খোদ বিজেপির নবনির্বাচিত রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যও দিয়েছেন।
তবে দীর্ঘদিন ধরে আরএসএস এবং পরবর্তীতে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত থাকায় সংগঠনকে শক্তিশালী করার উপরেই জোর দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। সেই লক্ষ্যে স্থির থেকেই তিনি কোন রকম পদে না থেকেও এবং নির্বাচনে হারের পরেও বারংবার জেলায় গিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন , করেছেন জনসংযোগ। দীর্ঘ দিন ধরে দলে কোণঠাসা থাকার পর এবার দিলীপ বিজেপিতে স্বমহিমায় ফিরছেন বলেই মনে করছেন তাঁর অনুগামীরা৷
