‘‘রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার যা পরিস্থিতি তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া বাংলায় কোনও ভোট হওয়াই উচিৎ নয়। পঞ্চায়েতে যদি সরকার রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করাতে চায় তাহলে আমরা আদালতে যাব।’’ আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। তবে আদালত যা রায়ই দিক, পঞ্চায়েতে লড়াইয়ের জন্য যে তাঁরা প্রস্তুত সেকথাও স্পষ্ট করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বলেন, ‘‘সব বুথে লড়াই হবে। আদালতে লড়াই হবে। রাজনীতির ময়দানেও লড়াই হবে।’’
advertisement
আরও পড়ুন- ২ নভেম্বর রাজ্যপালের আমন্ত্রণে চেন্নাই যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সম্ভবত আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসের মধ্যেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ৷ ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের পক্ষ থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। নির্বাচনের জন্য সীমানা পুনর্বিন্যাস, আসন সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য জুড়ে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল শাসক দলের বিরুদ্ধে ৷ পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল ৷ এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করা তাই পুলিশ-প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ৷ এই পরিস্থিতিতে রাজ্য পুলিশ দিয়ে যদি পঞ্চায়েত ভোট করানো হয় সেক্ষেত্রে শাসক দল ব্যাপক সন্ত্রাস করবে। জেলায় জেলায় হিংসার ঘটনা ঘটবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছে গেরুয়া শিবির। আর সেই কারণেই রাজ্য পুলিশ নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরই আস্থা রাখছে পদ্ম শিবির।
এ রাজ্যের পদ্ম শিবিরের সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, ‘‘ফলাফল ফ্যাক্টর নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অশান্তি ও হিংসা আটকানোর লক্ষ্যেই পঞ্চায়েত ভোটে সেন্ট্রাল ফোর্সের প্রয়োজন রয়েছে।’’ এবার একই সুর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কিংবা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলাতেও। শুভেন্দু-দিলীপের কথায়, ‘‘এ রাজ্যে কোনও নির্বাচনই অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে দেয় না শাসকদল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। অবাধ নির্বাচন হলে তৃণমূল জিততে পারবে না। তাই আমাদের দাবি, আগামী পঞ্চায়েত ভোট রাজ্য পুলিশ নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই করানোর।’’