বুধবারের পর গতকাল, বৃহস্পতিবার ফের ইডি দফতরে হাজিরা দেন মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। অফলাইনে ভর্তির তালিকা জমা দেন তাপস। অফলাইনে ভর্তির তালিকার সঙ্গে টাকার অঙ্কের গড়মিল পেয়েছে ইডি।গতকাল তিনি ইডি দফতরে দাবি করেন, মানিক ভট্টাচার্যের কাছে টাকা যেত। বুধবার তাপসকে প্রায় এগারো ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি আধিকারিকরা কিন্তু তিনি ২১ কোটির হিসেব দিতে পারেননি। বৃহস্পতিবার ইডি দফতরে ঢোকার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, 'গতকাল আমায় আরও দু'ঘণ্টা থাকতে বলা হয়েছিল, কিন্তু আমার শরীর খারাপ, তাই বলেছিলাম, আগামিকাল আসব।''
advertisement
আরও পড়ুন: একশো কোটিতে বিধায়ক কেনার চেষ্টা বিজেপি-র, এবার ভিডিও প্রকাশ করে দাবি কেসিআর-এর
lতাপসের সংযোজন, ''যা হিসেব দেওয়ার, তা গতকালই দিয়েছি। টাকার পরিমাণ কুড়ি কোটি ৭৩ লক্ষ টাকার মত। এই টাকা অফলাইনের লেট ফাইন হিসেবে বোর্ডে দিয়েছিলাম। মানিকবাবু-ই বলতে পারবেন, সেই টাকা দিয়ে কী হয়েছে না হয়েছে। এই টাকা সরাসরি বোর্ডে যেত আমার অফিস থেকেই। এটা কোনওভাবেই বেআইনি টাকা নয়। এটা ৩০০ টাকা অনলাইন ফি, যেটা পরে অফলাইন হয়েছে। তারসঙ্গে চার হাজার সাতশো টাকা যোগ হয়েছে'।
আরও পড়ুন: ফের শহরে ইডির হানা, এবার সেক্টর ফাইভে ব্যবসায়ীর আবাসনে অভিযান
বৃহস্পতিবারও নাম করে প্রাক্তন প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘাড়েই দায় চাপান তাপস মণ্ডল। তাঁর কথায়, '' পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, স্বাভাবিকভাবে উনি-ই সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যারা অফলাইনে কলেজে ভর্তি হয়েছিল, তারা নির্দিষ্ট সময়ে ফর্ম ফিল-আপ করতে পারেনি। ফলে, ফর্ম-ফিল আপ আনলাইন করে দেওয়া হয়েছিল। এবার এটা নিয়ম কী বেনিয়ম, সেটা বোর্ডই বলবে'। এই প্রসঙ্গেই দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ' যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তারা কেউই রেহাই পাবে না। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদে সব আসল কথা পেট থেকে বার করেই ছাড়বে'।