জানা যাচ্ছে, খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত হতে পারে কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় দিলীপ ঘোষকে আনা নিয়ে। বাংলায় বিজেপির দায়িত্ব নেওয়ার পরে দুটি নির্বাচনে লড়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। বিধানসভা নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন। সেই সময়ে রাজ্যে বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা ছিল ৩। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে তিনি জিতে সাংসদ হন। বিজেপি রাজ্য সভাপতি পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করা হয় দিলীপকে। কিন্তু এখন সেই পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হল।
advertisement
এদিন বিজেপির তরফ থেকে যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে বাংলা থেকে মাত্র একজন নেতার নামই রয়েছে। তিনি হচ্ছে অনুপম হাজরা। তাঁকে দলের রাষ্ট্রীয় সচিবের পদ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, মাত্র ৩ দিন আগেই দিল্লিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যে বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন, মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘কলম’ ধরলেন শুভেন্দু
আরও পড়ুন, বিরাট খবর! ২০২২-এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
তখন থেকে জল্পনা চলছিল বিজেপির অন্দরে বড়সড় রদবদল হতে পারে। সেই জল্পনাকেই শিলমোহর দিয়ে দেখা গেল দিলীপ ঘোষের নাম সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে। তবে তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আনা হতে পারে বলেও জল্পনা রয়েছে। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই দলের কেন্দ্রীয় স্তরের সংগঠনে বড়সড় রদবদল করল বিজেপি।
প্রসঙ্গত, ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সাংগঠনিক রদবদল শুরু হয়েছে পদ্ম শিবিরে। আর অন্যদিকে মন্ত্রিসভায় রদবদলের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষকে আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করার বিষয়টি আলোচনায় উঠে এসেছিল। কিন্তু সেই সময় পূর্ণমন্ত্রী না করে প্রতিমন্ত্রী করার আপত্তি জানান দিলীপ ঘোষ নিজেই। তবে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে নতুন কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের তালিকা থেকে দিলীপ ঘোষের নাম বাদ যাওয়ায় দিলীপ ঘোষের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার বিষয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।