রবিবার ভবানীপুরের ফল প্রকাশের পর মুখ খোলেননি দিলীপ। কিন্তু সোমবার সকালেই তাঁর কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দেয় সংবাদমাধ্যম। ভবানীপুর নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই দিলীপ বলেন, 'ভবানীপুরে আমাদের সংগঠনের দুর্বলতা রয়েছে সেটা ঠিক। কারণ গুন্ডা লেলিয়ে দিয়ে বিরোধীদের প্রচার করতে দেওয়া হয়নি। রীতিমত ভয় দেখানো হয়েছে, অনেকে ভয়েই বের হননি ভোট দিতে।' প্রসঙ্গত, হারের পর গতকালই ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল বলেছিলেন, ''আমি স্বীকার করছি, ভবানীপুরে আমাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা ছিল। ভোটে জেতার জন্য যে সংগঠনের প্রয়োজন হয়, তা আমাদের ছিল না, তা মেনে নিচ্ছি। মনে রাখবেন, একজন নেতা কখনও জেতেনও না, একজন নেতা কখনও হারেনও না। জেতে বা হারে সেই দলের সংগঠন।' তবে, জয়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। একইসঙ্গে যদিও নিজেকেই 'ম্যান অফ দ্য ম্যাচ' বলেও অভিহিত করেছেন তিনি।
advertisement
এই পরিস্থিতিতে দিনহাটা, খড়দহ, গোসাবা এবং শান্তিপুরের উপনির্বাচনে আদৌ কি সংগঠনকে মজবুত করে তৃণমূলকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেলা সম্ভব? দিলীপ ঘোষ সাফ জানাচ্ছেন, 'আগামী চারটে উপনির্বাচনে আমাদের সঙ্গে ভালো ফাইট হবে। কারণ ওখানে আমাদের সংগঠন মজবুত রয়েছে।' একইসঙ্গে দিলীপের সংযোজন, ''ভবানীপুরে যে রেজাল্ট আশা করা হয়েছিল, তাই হয়েছে। লিড একটু বেশি হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম, আরেকটু কম হবে। কিন্তু লোকে ভয়ে বেরোয়নি ভোট দিতে। বিরোধী ভোটার ছিল তাঁরা। সেই জন্য লিডটা বেশি হয়েছে। টিএমসি-র সব মন্ত্রী সভায় নেমে গিয়েছিল। নাচ গান সবই হয়েছে। আমরাও তার সামনে সমানে টক্কর দিয়ে প্রচার করেছি। কারণ আমরা বিরোধী দল হয়ে লড়াই করছি।''
আরও পড়ুন: BJP-তে যাওয়ার প্রায়শ্চিত্তে যজ্ঞ করবেন কালীঘাটে, ৬ তারিখ তৃণমূলে আসছেন এই বিধায়ক?
আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের আরও চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে৷ এর মধ্য খড়দহ এবং গোসাবা কেন্দ্রে জয়ী তৃণমূল বিধায়কদের মৃত্যু হয়েছিল৷ আর দিনহাটা এবং শান্তিপুরে বিজেপি-র জয়ী দুই বিধায়ক জগন্নাথ সরকার ও নীশিথ প্রামাণিক ইস্তফা দিয়ে নিজেদের সাংসদ পদ ধরে রেখেছেন। ইতিমধ্যেই ওই চার কেন্দ্রে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছেন রাজ্যের শাসক দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বাকি বিরোধীদের কেউই এখনও প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেনি। ফলে বাকি চার আসনের উপনির্বাচনেও বিরোধীদের থেকে অনেকটা এগিয়ে থেকে শুরু করল তৃণমূল।
