কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একাংশের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। যদিও সেই দিলীপ ঘোষের মুখে শুক্রবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর আশার আলো। প্রসঙ্গত, এসএসসি দুর্নীতির মতোই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগেও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। যেগুলির তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেখানেও অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। সেই কারণেই মানিকের বাড়িতে ইতিমধ্যে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। সেখান থেকে কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও খবর। মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতে এ বার লুক-আউট নোটিশ।
advertisement
আরও পড়ুন: নিজামে আসছেন একের পর এক ব্যাংকের কর্মীরা, অনুব্রতর 'অজানা' তথ্যের খোঁজে সিবিআই
ইডি সূত্রে তেমনই খবর পাওয়া গিয়েছে। সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতির পদ থেকে মানিককে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার পরিবর্তে নতুন দায়িত্ব নিয়ে আসেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গৌতম পাল। তার পরেই মানিককে নতুন করে লুক আউট নোটিশ।এর আগে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক বার ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জিজ্ঞাসাবাদের সামনে পড়তে হয়েছে মানিককে।
আরও পড়ুন: ফোনের সূত্রেই জালে এল 'ছোটু', এসএসসি দুর্নীতিতে মাস্টারস্ট্রোক সিবিআই-এর!
গত ২৮ জুলাই টানা ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মানিককে। প্রায় মধ্যরাতে তিনি বেরিয়ে যান জিজ্ঞাসাবাদের পর। উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি মানিকবাবু তৃণমূলের পলাশিপাড়ার বিধায়ক। সংসদের সভাপতির পদ থেকে সরালেও আপাতত তিনি বিধায়ক পদেই রয়েছেন। তবে দুর্নীতির সঙ্গে যাদেরই নাম জড়িয়েছে তা সে মানিক ভট্টাচার্য হোক বা অন্য কেউ তাঁরা যে পার পাবেন না। সে কথা স্পষ্ট করে দিয়ে দিলীপ ঘোষের কথায়,' সবাইকে জেলে যেতেই হবে'।