অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ফের একবার শুক্রবার দিলীপ ঘোষ সুলভ হুঙ্কার শোনা যায় তাঁর মুখে (Dilip Ghosh)। বক্তব্য থেকে সরে না গিয়ে ইকোপার্কের প্রাতঃভ্রমণের পরে এদিন তিনি পাল্টা বলেন, "আমি পুলিসমন্ত্রী সম্পর্কে বলেছি। পুলিশের তাও ক্ষমতা নেই আমাকে ধরার। পুলিশের দম থাকলে জেলে ভরুক। তারা গেছে সেই রাজ্যপালের কাছে, যে রাজ্যপালকে তারা উঠতে বসতে গালাগালি দেন? চোদ্দ পুরুষ উদ্ধার করেন।"
advertisement
"নিল ডাউন করিয়ে রাখা উচিৎ", কুনাল ঘোষের দাবি শুনে দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, "যারা নিল ডাউন করে ফেলেছেন একমাত্র তারাই বলতে পারবেন। কটু কথার রাজনীতি আমরা আনিনি। সেই কংগ্রেস জমানা থেকে চলছে।"
নূপুরের বিরুদ্ধে তৎপর কলকাতা পুলিস। অথচ মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে না। এমনই দাবি তুলছে বিরোধী বিজেপি শিবির। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের শুক্রবারের প্রতিক্রিয়া "এ আর নতুন কি? পুলিস তৃণমূলের। ওদের একমাত্র কাজ তৃণমূলকে জেতানো। রাজ্যে অপরাধের বাড়বাড়ন্ত। সেখানে পুলিস কোথায়? এখানে সিবিআই এসে এফ আই আর করে।"
আরও পড়ুন : জাকিয়া জাফরি মামলায় মোদিকে ক্লিনচিট, সুপ্রিম কোর্টকে খোলা চিঠি ৯২ প্রাক্তন আমলার!
আগামিকাল রাজ্যে আসছেন বিজেপির রাষ্ট্রপতি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। সেই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, "উনি সব রাজ্যে গিয়ে সমর্থন চাইছেন। এই প্রথম দেশ একজন আদিবাসী রাষ্ট্রপতি পেতে চলেছে। যশবন্তকে মমতা মুরগি করে দিয়েছেন। জোর করে পার্টি থেকে ইস্তফা দিতে বলেছেন। অথচ তাঁর মনোনয়নে উনি নিজেই যাননি। অথচ দ্রৌপদীর মনোনয়নে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
পাশাপাশি ক্যানিং কাণ্ড প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের দাবি বিহার, উত্তরপ্রদেশ, কাশ্মীর তারা শান্ত করেছেন। আর আগে এই রাজ্যগুলো যেমন ছিল, এখন পশ্চিমবঙ্গ সেই পর্যায়ে পৌছে গিয়েছে।
প্রতিবেদন : সাহ্নিক ঘোষ