এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'সরকার সবাইকে কামড়াচ্ছে। অথৈ জলে পড়েছে। ডিএ নেই। ধর্না চলছে। চাকরি নেই। বেতন নেই।' একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, 'মুড চেঞ্জ করার জন্য উনি কখনও চেন্নাই যাচ্ছেন। কখনও দার্জিলিং যাচ্ছেন। সবকিছু হাতের বাইরে চলে গিয়েছে এই সরকারের। আর সামলানোর ক্ষমতা নেই। পুলিস তৃণমূলের ক্যাডার। পুলিসের প্রতি মানুষের ব্যবহারও পাল্টে যাচ্ছে। মানুষের ধৈর্যচ্যুতি ঘটেছে। সহ্যের সীমা পেরিয়ে গেছে। পুলিসকে দিয়ে তোলা তোলানো হচ্ছে। গরুর টাকা উঠছে। পুলিসের কাজ কি আমরা ভুলে গিয়েছি।'
advertisement
আরও পড়ুন : করোনা না ডেঙ্গু! জ্বর, ঠান্ডা লাগা, শরীরে ব্যথার মতো সাধারণ লক্ষণগুলো আলাদা করবেন কীভাবে?
প্রসঙ্গত, ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েত ও বিক্ষোভকে ঘিরে বুধবার ধুন্ধুমার বেঁধে যায় এক্সাইড মোড় চত্বরে। প্রিজন ভ্যানের নিচে শুয়ে পড়েও বিক্ষোভ দেখান কয়েকজন বিক্ষোভকারী। তাঁদের টেনে হিঁচড়ে বের করে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় আন্দোলনকারীদের। চ্যাংদোলা করে চাকরিপ্রার্থীদের তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশের তাড়া খেয়ে বেশকিছু চাকরিপ্রার্থী ক্যামাক স্ট্রিটের দিকে দৌড় দেন। পরে রাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে শুরু হয় অবস্থান। পুলিশ বাহিনী গিয়ে বিক্ষোভকারীদের টেনে হিঁচড়ে সেখান থেকেও তুলে দেয়। এই ঘটনা ঘিরে আজও ক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে।
কেবল টেট নয়, ডেঙ্গু সচেতনতায় ফিরহাদ হাকিমের রাস্তায় নেমে প্রচারের ঘটনাকের কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। কোদাল হাতে পথে মেয়রকে দেখে দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ''এতদিন তো বলছিল কিছুই হয়নি। সব ঠিক আছে। তারপর হাসপাতালের সুপার, দলের নেতা, নেতার আত্মীয় ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ায় পথে নেমেছেন। স্বীকার করুন যে পরিস্থিতি জটিল। বেঘোরে লোক মরছে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেছে। পাপ আপনারা করেছেন। তার ফল আমাদের ভুগতে হচ্ছে।''