তাঁর মতে, ‘‘পরেশ অধিকারী দুর্নীতি করেছেন এটা প্রমাণিত। তাই তাঁর ঠিকানা হওয়া উচিত জেল। পরেশ অধিকারীকে দলের সহকর্মী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিংবা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁকেও তদন্তকারীদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো উচিত বলে মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য ‘‘ধীরে ধীরে দুর্নীতিতে যুক্ত আরও অনেক নাম সামনে আসবে। অনেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছ থেকে ডাক পাবেন। সেই প্রক্রিয়া চলছে।’’
advertisement
প্রসঙ্গত, মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর স্কুল শিক্ষিকার চাকরি গিয়েছে ৷ মেয়েকে স্কুল শিক্ষিকার চাকরি পাইয়ে দিতে প্রভাব খাটানোর অভিযোগে এবার ইডি-র মুখোমুখি তৃণমূল বিধায়ক পরেশ অধিকারী ৷ আজই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে হাজিরা দিয়েছেন কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের বিধায়ক ৷ এর আগে সিবিআই-ও জেরা করেছে পরেশকে ৷ এই প্রথমবার ইডি-র মুখোমুখি হলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ৷
আরও পড়ুন- আজ থেকে তিন দিনের নদিয়া সফরে মুখ্যমন্ত্রী, নজরে রাজনৈতিক সভা, প্রশাসনিক বৈঠক
২০১৬ সালের এসএসসি-র মেধা তালিকায় বেআইনি ভাবে অঙ্কিতার নাম ঢোকানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ৷ এর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন ববিতা সরকার নামে এক চাকরিপ্রার্থী ৷ শেষ পর্যন্ত অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে ববিতা সরকারকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ একই সঙ্গে অঙ্কিতার সমস্ত বেতনও দু'টি কিস্তিতে ববিতা সরকারকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷ এই ঘটনা যখন ঘটে, তখন পরেশ অধিকারী রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন ৷ অভিযোগ ওঠে, মন্ত্রী হিসেবে প্রভাব খাটিয়েই মেয়েকে বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন পরেশ ৷ যদিও হাইকোর্টের নির্দেশে অঙ্কিতার চাকরি যাওয়ার পরই মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হয় পরেশকে ৷
এবার ইডি-র মুখোমুখি হতে হলে রাজ্যের তৃণমূল বিধায়ককে ৷ সোমবার বেলা এগারোটা নাগাদ ইডি দফতরে আসেন তিনি ৷ তারপর থেকে পরেশ অধিকারীকে টানা জেরা শুরু করেন গোয়েন্দারা ৷ মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দিতে তিনি কোনও আর্থিক লেনদেন করেছিলেন কি না, মেখলিগঞ্জের শাসক দলের বিধায়কের কাছ থেকে তা জানতেই এদিন পরেশ অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর।