অনুব্রত মণ্ডল জামিনে ছাড়া পেলে বীরভূমে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে না বলেও দাবি করেন দিলীপ ঘোষ। শান্তিতে ভোট করতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন।
এর পাশাপাশি রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির প্রস্তুতি নিয়ে তিনি জানান, রবিবার কেন্দ্রীয় নেতারা আসছেন। সাংগঠনিক বৈঠক শুরু হবে। পঞ্চায়েতের প্রস্তুতি বিজেপির। বেশি করে তৃণমূলের লোকেরা টিকিট না পেয়ে বিক্ষুব্ধ বা নির্দল হয়ে যাবে। নিজেরাই মারামারি করবে।
advertisement
আরও পড়ুন- মমতা-স্ট্যালিন বৈঠকে বিজেপি বিরোধিতা নিয়ে কী উঠে আসতে পারে? নজর রাজনৈতিক মহলের
আজ, বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষিণ ভারত যাচ্ছেন। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ ,পলিটিক্যাল ট্যুরিস্ট হয়ে সফর করেন। যাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা কেউ ক্ষমতায় নেই। স্ট্যালিন আছেন একমাত্র টিমটিম করছে, মুলায়ম ও লালু ডুবেছে। পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ আরও জানান, আগেরবারও চেয়েছিলাম পাইনি। কারণ রাজ্য সরকার চায়নি। আগের পঞ্চায়েত ভোট থেকেই এ রাজ্যে বিজেপি নজর কাড়তে শুরু করে। এবার আমরা অনেক বেশি প্রস্তুত। সর্বশক্তি দিয়ে মোকাবিলা হবে। এ রাজ্যে ভোট শান্তিপুর্ন হয়না। তৃণমূল এবং পুলিশ দিয়ে ভোট হবে। আমরাও মোকাবিলা করব। গত পঞ্চায়েতে ওরা এতো শক্তি লাগিয়েও আটকাতে পারেনি। এবার আরও বেশি লড়াই হবে।
আরও পড়ুন-গাড়ি ছেড়ে নিজ রাজ্যে ট্রেনেই যাতায়াত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর
আমরা এই কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই, যাতে মানুষ সাহস করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভোট দেয়। আমাদের সাহায্য লাগবে না। আমাদের কর্মীরা যথেষ্ট। কিন্তু, যেভাবে গ্রামে গঞ্জে খুনোখুনি শুরু হয়ে গেছে, তাতে শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়া নিয়ে সংশয় আছে।
অনুব্রত মণ্ডল এখন জেলে আছেন তবে পঞ্চায়েত ভোটে বীরভূমে কি হবে সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘বীরভূমের ব্যাপার আপনারা জানেন। খুব চেষ্টা চলছে, অনুব্রতকে জামিন করিয়ে নেওয়ার। উনি যদি জামিনে বেরিয়ে আসেন, তাহলে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে না। কারণ, এবার ওরা আরও দুর্বল। গতবারের চেয়ে ওদের অবস্থা খারাপ। শান্তিতে পঞ্চায়েত ভোট করতে গেলে অনুব্রতকে ভিতরে রাখার দরকার এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী দরকার।’’
পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি টি কতটা প্রস্তুত সেই প্রসঙ্গে দিলীপবাবু জানান, ‘‘আমরা তৈরি। জেলায় জেলায় বৈঠক হচ্ছে। ৬ নভেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা আসছেন। সাংগঠনিক বৈঠক শুরু হয়ে যাচ্ছে। গতবারের চেয়েও বেশি, এবার ৫০ শতাংশ তৃণমূল নির্দল হয়ে যাবে। নিজেরাই প্রার্থী দেওয়া নিয়ে মারামারি করবে।’’
নন্দীগ্রামের দায়িত্বে কুণাল ঘোষের প্রসঙ্গে দিলীপবাবুর কটাক্ষ, ‘‘কুণাল ঘোষ আজ পর্যন্ত কোনও নির্বাচন জিতেছেন বা জিতিয়েছেন? ট্র্যাক রেকর্ড দেখে নিন।’’
যেভাবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে গিয়ে রাজ্যের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন তাতে রাজনৈতিক মহল মনে করছে নির্বাচনের আগেই সিএএ লাগু করার দিকে যেতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই একটি সিএ রাজ্যে লাগু হবে ? সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান, যেকোনও সময়ে হতে পারে। রাজস্থান এবং গুজরাতে আগেও প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে এই সরকার থাকলে CAA লাগুর সম্ভাবনা কম। এরা উদ্বাস্তুদের ভোট নেবে। তাদের জন্য কিছু করবে না। সরকার বদল হলে দেখা যাবে।