মমতা-স্ট্যালিন বৈঠকে বিজেপি বিরোধিতা নিয়ে কী উঠে আসতে পারে? নজর রাজনৈতিক মহলের

Last Updated:

সাম্প্রতিক সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই দেখা গিয়েছে স্ট্যালিনকে। 

মমতা-স্ট্যালিন বৈঠকে বিজেপি বিরোধীতা নিয়ে কি উঠে আসতে পারে?
মমতা-স্ট্যালিন বৈঠকে বিজেপি বিরোধীতা নিয়ে কি উঠে আসতে পারে?
আবীর ঘোষাল, কলকাতা: সারা দেশে ঝড় তুললেও দক্ষিণের দুই রাজ্য তামিলনাড়ু ও কেরলে ২০১৯ সালে বিশেষ কিছু পারেনি বিজেপি। তামিলনাড়ুতে ডিএমকে একাই জিতেছে ২৩টি আসন, কেরলে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ ১৯টি।
আগামী লোকসভা নির্বাচনে দুই রাজ্যে এই দুই শক্তিরই ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা প্রবল। তার আগে বিজেপি-বিরোধিতার প্রশ্নে ২০২৪-এর আগে কংগ্রেস, সিপিএম এবং তৃণমূলকে এক অক্ষে বেঁধে এগোতে চাইছে ডিএমকে। চেন্নাইয়ে ঝটিকা সফর উপলক্ষে সেই বিরোধী অক্ষেরই মহড়া সেরে বুধ সন্ধ্যায় তৃণমূল নেত্রী সারেন কিনা সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের। রাজনৈতিক মহলের ধারণা স্ট্যালিন-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলোচনায় ঠিক হতে পারে, বিজেপি-বিরোধিতার পথ তাঁরা কথা বলেই আগামী দিনে কীভাবে এগোবেন।
advertisement
advertisement
ডিএমকে-র সুবিধা হল, তাদের সঙ্গে কংগ্রেস এবং সিপিআইএম, সিপিআইয়ের জোট আছে। মমতা এবং স্ট্যালিন জানেন, কেরলে সিপিআইএম ও কংগ্রেস যুযুধান। আবার বাংলায় কংগ্রেস-সিপিআইএম নিজেরা জোট গড়বে কিন্তু মমতার হাত কোনও ভাবেই ধরবে না। স্ট্যালিন, নারায়ণস্বামীদের যুক্তি, রাজ্যভিত্তিক আলাদা সমীকরণ থাকলেও বিজেপি-বিরোধিতার প্রশ্নে এই আঞ্চলিক শক্তিগুলি সমন্বয় করেই লড়াই করতে পারে।
advertisement
আজ, বুধবার চেন্নাই পৌঁছে স্ট্যালিনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মমতা। জানা যাচ্ছে, চেন্নাইয়ের মুখ্যমন্ত্রীর ক্যাম্প অফিসে বৈঠক হতে পারে। চেন্নাইয়ের বেশ কিছু শীর্ষনেতৃত্ব উপস্থিত থাকতে পারেন গণেশানের বাড়ির অনুষ্ঠানে। সেখানে তাদের সঙ্গেও গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। অতীত বলছে, বিজেপি-বিরোধিতায় বার বার মমতার পাশে দাঁড়িয়েছেন ডিএমকে প্রধান। বিশেষত গত ফেব্রুয়ারিতে তাঁর একটি ট্যুইট ঘিরে নতুন শোরগোল তৈরি হয়। স্ট্যালিন তাতে লিখেছিলেন, অবিজেপি শাসিত রাজ্যের রাজ্যপালদের বিরুদ্ধে যেভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠছে, তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা হয়েছে।
advertisement
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগেও একপ্রস্ত কথা হয় মমতা-স্ট্যালিনের। সূত্রের খবর, মূলত রণকৌশল স্থির করার জন্যই কথা হয়েছিল সে সময়। তাতে হাজির ছিলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-ও। সেই কেসিআর যিনি আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করার কথা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, মহারাষ্ট্রের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেও তাতে থাকবেন।  প্রসঙ্গত, বিজেপির বিরুদ্ধে আগেই 'আঞ্চলিক জোটের' ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, ‘‘আমি চাই ২০২৪ এর মধ্যে দেশের সমস্ত আঞ্চলিক দল ঐক্যবদ্ধ হোক, লড়াই করুক এবং বিজেপিকে পরাজিত করুক।’’
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
মমতা-স্ট্যালিন বৈঠকে বিজেপি বিরোধিতা নিয়ে কী উঠে আসতে পারে? নজর রাজনৈতিক মহলের
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement