এদিন সমালোচকদের উদ্দেশ্যে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘যারা এইসব বিশ্লেষণ করছেন তাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ওরকমই। এদের অনেকে আমার পিছনে ঘুরঘুর করত। ১ লাখ ২ লাখ টাকার জন্য ঘুরত। কেউ আমার বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছিল। কেউ আমার উপদেষ্টা হয়ে গেছিল। আবার জমা পাল্টে এখন আমাকে উপদেশ দিচ্ছেন। এরা সব অন্ন দাস। আর দিলীপ ঘোষ বুক ফুলিয়ে ঘুরবে। কারণ দিলীপ ঘোষ কারোর সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করে চলে না।’’
advertisement
আরও পড়ুন: বিরাট পদক্ষেপ…এবার প্রাক্তন RAW প্রধানকে ফিরিয়ে আনলেন মোদি, কোন পথে এগোচ্ছে প্ল্যান?
রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, ‘‘যারা এখন টিভি তে এই কথা শুনছেন তাদের সবাইকে চ্যালেঞ্জ করছি, পারলে প্রমাণ দিন দিলীপ ঘোষ কখনও কোনওদিন কোনও তৃণমূল নেতাকে ফোন করেছে। মুখ্যমন্ত্রী ছেড়ে দিন। তারা দরকার হলে দিলীপ ঘোষকে ফোন করেছে। কেউ বলতে পারবে না আমি কোনও অ্যাপ এর মাধ্যমে গোপনে ফোন করেছি। বা রাতের বেলা কালীঘাটের বাড়ি গেছি।’’
জানান, ‘‘আমি বলছি ওই জগন্নাথ মন্দিরে গিয়ে যদি কেউ মাথানত করে তাহলে সে তৃণমূল হয়ে যাবে? মানুষকে এতো বোকা ভাবেন আপনারা? সিপিএম একসময় বলত ওই বিবেকানন্দ আর এই বিবেকানন্দ। ওটা নাকি আরএসএস-এর বিবেকানন্দ। তৃণমূল বলত রামায়ণের রাম আলাদা আর বিজেপির রাম আলাদা। আমরা সেটা মনে করি না। পুরীর জগন্নাথ আর দিঘার জগন্নাথ এক। যার যেখানে ইচ্ছা গিয়ে প্রণাম করবেন। সবাই বলে বিজেপি মন্দির রাজনীতি করে। একশো বার করে। কিন্তু মন্দিরে মন্দিরে ভেদাভেদ করে না। ’’
রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণকে ‘সম্মান’ জানিয়ে বুধবার দিঘার জগন্নাথধাম গিয়েছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে নববিবাহিতা স্ত্রী রিঙ্কু! কিন্তু দিলীপের এই দিঘা যাত্রা ‘সহজ’ভাবে নেয়নি বিজেপির একাংশ! তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ থেকে ইন্দাসের বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধাড়া… পদ্মশিবিরের একাধিক ছোট-বড়-মাঝারি নেতারা কটাক্ষ করেছেন দিলীপকে!
