সূত্রের খবর, বিধানসভায় এ দিনের বৈঠকের সময় তৃণমূলকে হারাতে দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীকে একসঙ্গে লড়াইয়ের আর্জি জানান দলের বিধায়করা৷ অস্বস্তি এড়াতে দুই নেতাই বিধায়কদের আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা একসঙ্গেই আছি৷
এ দিন বিধানসভায় দলীয় বিধায়কদের ভোকাল টনিকও দেন দিলীপ৷ লোকসভা নির্বাচনে হারলেও জেলায় জেলায় ঘুরে জনসংযোগ বজায় রেখেছেন তিনি৷ এ দিন দলের বিধায়কদেরও সেই একই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি৷ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ভাল করে কাজ করুন নিজের এলাকাতে। দলকে এবার জেতাতে হবে। চা-চক্র করুন। বাজারে বেরিয়ে ঘুরে আসুন। লোকের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করুন। জনসংযোগ আসল বিষয়। সেটার দিকে ফোকাস করুন।’প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি যখন এই পরামর্শ দিচ্ছেন তখন শঙ্কর ঘোষ, বিশাল লামার মতো প্রায় সব বিজেপি বিধায়কই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন৷
advertisement
সামনে বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা হওয়ার কথা৷ বিধানসভা নির্বাচনের আগে যা নিয়ে দলের অন্দরে আগ্রহ তুঙ্গে৷ বিজেপিতে কান পাতলে দিলীপের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনার কথাও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে৷ শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দিলীপ ঘোষের এ দিনের সাক্ষাতে সেই জল্পনা আরও বেড়েছে৷ যদিও এ দিন সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বা শুভেন্দু অধিকারী, কেউই মুখ খোলেননি৷ দিলীপ ঘোষ শুধু বলেন, ‘দল যাঁকে যোগ্য মনে করবে তাঁকেই দায়িত্ব দেবে৷’