শাহের হোটেল থেকে তাঁর বাড়ির দূরত্ব সাকুল্যে দেড় কিলোমিটার৷ তা-ও কি শাহ এলে তিনি দেখা করতে যাবেন না? উত্তরে দিলীপ ঘোষ বললেন, ‘‘আগে যেতাম। তখন প্রেসিডেন্ট ছিলাম। উনি এলে স্বাগত জানাতাম। ওঁর সঙ্গে থাকতাম। এখন অন্যরা সেইসব দায়িত্ব সামলায়। আমি কার্যকর্তাদের সঙ্গেই থাকি আজকাল।’’
আরও পড়ুন: ক্ষমা চাইতেই হল অনুব্রত মণ্ডলকে! IC-কে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ…বললেন, ‘নানা ওষুধ খাই!’
advertisement
তাঁর কথায়, ‘‘বড় নেতারা আমাকে না ডাকলে আমি যাই না। বড় নেতাদের একটা মান সম্মান আছে। ওঁরা যাঁদের ডাকেন তাঁরা যান। আমি যাই না। আমার যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন হলে তাঁরা ডাকেন। কী করতে হবে তাঁরাই বলেন। আমি জাস্ট ওটা পালন করি। ’’
এই সময় সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করে, এই যে ডাক না পাওয়ার, এতে কি অভিমান হয়? উত্তরে অবশ্য স্পষ্ট দিলীপ, ‘‘কীসের অভিমান? একটা ট্রেন্ড আছে নেতার পিছনে পিছনে ঘোরা। কারণে অকারণে নেতার পিছনে ১০০ – ২০০ লোক দাঁড়িয়ে থাকে। নেতা দেখাও করে না কিছুই করে না। এটা একটা কালচার। আপনারা হয়ত ভাবেন এটাই ঠিক। বিজেপির একটা ডিসিপ্লিন আছে, যে প্রোগ্রামে কাউকে যেতে বলা হয় কর্মীরা সেখানেই যান। কোন নেতা কোথায় যাবে সেটা দল ঠিক করে। আমি ওটা মেনে চলি। ওটাইকেই আমরা ডিসিপ্লিন বলি।’’