রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে-তাহলে কি বিজেপির রাজ্য রাজনীতিতে দিলীপ ঘোষকে এখনও একঘরে করে রাখা হচ্ছে? প্রধানমন্ত্রীর সভায় পরপর তিনবার ডাক পাননি দিলীপ ঘোষ। এর আগে গত ১৮ জুলাই দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত সভাতেও তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। যদিও পরে স্থানীয় কর্মীরা তাঁকে ডাকলেও, অভিমানে শেষমেশ সেই সভায় উপস্থিত হননি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।
advertisement
রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, রাজ্য নেতৃত্বই তাঁকে যেতে নিষেধ করেছিল। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্ব তাঁর নিজের জেতা আসন থেকে তাঁকে সরিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পাঠিয়েছিল। কিন্তু সেখানে পরাজয়ের পর কার্যত সাংগঠনিক দিক থেকে পাশে আর কেউ ছিলেন না।
রাজনৈতিক মহলের কেউ কেউ বলছেন বিজেপিতে ক্রমশ একঘরে হয়ে যাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। সাংসদ পদ হারান, বিধায়ক পদও যায়, এমনকি রাজ্য সভাপতির পদও হারাতে হয়। সেই থেকেই ধীরে ধীরে রাজনীতিতে একঘরে হতে শুরু করেন দিলীপ।
তিনি সভায় যাবেন কি না, এই প্রশ্নে তাঁর উত্তর কৌতূহল বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, “আমাকে আমন্ত্রণ করা হয়নি, তাই যেতেও পারি, নাও যেতে পারি। আমি কোথায় যাব, আমিই ঠিক করব।” দলীয় সূত্রে খবর, এর মাধ্যমে তিনি কার্যত বোঝাতে চেয়েছেন যে, আমন্ত্রণ না পেলেও দলীয় কর্মসূচিতে তাঁর উপস্থিতি তাঁর নিজের সিদ্ধান্তের উপরই নির্ভর করবে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির অন্দরে নব্য বনাম পুরনো নেতৃত্বের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। যে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বাংলায় বিজেপির উত্থান হয়েছিল, তিনিই এখন কার্যত কোণঠাসা। সাম্প্রতিককালে মোদি বা অমিত শাহের কোনও বঙ্গ সফরেই তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, যা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। শমীক ভট্টাচার্য রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর অনেকে ভেবেছিলেন দিলীপের গুরুত্ব বাড়বে, কিন্তু এখনও সেই ছবির কোনও পরিবর্তন হয়নি, যা আগামী ২০২৬ নির্বাচনের প্রেক্ষিতে বিজেপির জন্য বেশ তাৎপর্যপূণ হতে পারে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।