জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে রাজ্যে একাধিক মৃত্যু প্রসঙ্গে
দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলছেন, "যে ধরনের বৃষ্টি হয়েছে জল জমবে। দিনকে দিন জল বেশি জমবে। কারন ড্রেন বন্ধ পরিস্কার করা হয় না আর যত ফাঁকা জায়গা ছিল পুকুরছিল সেগুলো বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিপিআইএম আমল থেকে শুরু হয়েছিল এইধরনের সিন্ডিকেট প্রমোটিং।"
advertisement
আরও পড়ুন-চলে গেলেন কমলা ভাসিন, ভারতীয় নারী আন্দোলনের অপূরণীয় ক্ষতি
দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) তোপ, "যত ফাঁকা জমি ছিল এমনকী খালের ওপরও বাড়ি হয়ে যাচ্ছে এমনকি সেই জায়গা গুলো বিক্রি করে দিচ্ছে পাট্টা দিয়ে দিচ্ছে বেআইনি ভাবে ফলে জল বেরোবারও জায়গা নেই দাঁড়াবার জায়গা নেই। তাই একটু বেশি বৃষ্টি হলে যেখানে ফাঁকা জায়গায় রাস্তায় সর্বত্র দাঁড়িয়ে যাচ্ছে।"
দিলীপ বলছেন, "সরকারের কোনও দায় দায়িত্ব নেই। তাদের নেতাদের দায় নেই, অমানবিক ভাবে কথা বার্তা বলছেন। সরকারের ইমিডিয়েট ব্যবস্থা নেওয়া উচিত যাতে প্রাণহানি না হয়। লোককে সতর্কও করা উচিত। সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাও বের করাও উচিত যাতে এইধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে।"
মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি
উল্লেখ্য মগরাহাটের বিজেপি নেতা মানস সাহার দেহ নিয়ে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে আসেন বিজেপি নেতারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্য সভা থেকে এই আচরণের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। এই প্রসঙ্গেও আজ মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, "দেহ এনে বিক্ষোভ করা কে শিখিয়েছে? বিভিন্ন জেলা থেকে বডি এনে কলকাতায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন? এখন কষ্ট হচ্ছে। পুলিশ এফআইআর পর্যন্ত নিতে চায় না। ঢিল মারলে পাটকেল তো খেতেই হবে।"
ভবানীপুরে ভোটযুদ্ধ
উল্লেখ্য একাংশ বলছে, ভবানীপুরে যখন গোটা দল শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করছে তখন অনেকটাই নিস্পৃহ লাগছে দিলীপ ঘোষকে। ভবানীপুরের চৌহদ্দিতে তিনি খুব একটা যাচ্ছেনও না। ফলের কথা ভেবেই এ হেন সিদ্ধান্ত, নাকি দায়িত্ববদলের কারণেই অনীহা? এসব প্রশ্নে আমল দিতে চান না দিলীপ ঘোষ। স্পষ্টই বললেন, "হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে যাচ্ছে দলের লোকেরা।আমিও যাব।"
